ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোয়ালন্দে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন Logo দৌলতপুরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন নিয়ে নানা শুঞ্জন ও ক্ষোভ! Logo আমার সঙ্গে যারা বিরোধিতা করবে তারা আল্লাহর সঙ্গে বিরোধিতা করবে’ Logo আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সমর্থনে ভোট প্রত্যাশা করলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক Logo নাটোরের লালপুর বাবার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সাগরের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু Logo ভেড়ামারায় তাপদাহে তালপাতার হাত পাখা বানানোর ধুম Logo ফরিদপুরের সিং‌ পাড়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাপ্ত Logo শ্রীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা Logo নাটোরের নলডাঙ্গায় গভীর রাতে ৮ খড়ের গাদায় আগুন Logo চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের আশ্বাস দিলেন মাহমুদা বেগম কৃক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মধুখালীতে সহকারী শিক্ষক কর্তৃক শিশুর শ্লিতাহানীর চেষ্টা

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন মুকুল।

ফরিদপুরের মধুখালীতে গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন মুকুল কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেনির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন ও ছাত্রীর দাদা বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ২৬ মে বৃহস্পতিবার ভিক্টিমের ছোট ভাই বই হারিয়ে ফেলে, বই আনার জন্য স্কুলে যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণী পুড়–য়া শিক্ষার্থী। স্কুলের লাইব্রেরীতে তখন একাকি বসে থাকা মোক্তার হোসেন মুকুল মাষ্টারের নিকট ছোট ভাইয়ের বই হারিয়ে যাওয়ার কথা ও বই চাইলে বই দেবার কথা বলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে যায় মুকুল মাষ্টার।

বই দেওয়ার পরিবর্তে মুকুল মাষ্টার শিশু শিক্ষার্থী (১১)কে একাকী পেয়ে জামার পিছনের চেন খুলে ফেলেন। সুযোগ বুঝে ছাত্রী দৌঁড়িয়ে নিজেকে মুক্ত করে বিষয়টি পরিবারকে অবগত করে। পরে এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ পরিস্থিতি সৃষ্ঠি হয়।

অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন মুকুল মাষ্টারকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছেন। বিদ্যালরয়র প্রধান শিক্ষিকা রোজিনা বেগম সাংবাদিকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা শিকার করেছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন বিষয়টির তদন্ত চলছে, প্রমানিত হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে বলেন তাকে প্রত্যাহার করে অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে । তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন মুকুল বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না । অভিযোগ প্রমানিত হলে চাকুরী চুত্যসহ প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে গ্রহন করা হবে।

 

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোয়ালন্দে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

error: Content is protected !!

মধুখালীতে সহকারী শিক্ষক কর্তৃক শিশুর শ্লিতাহানীর চেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

ফরিদপুরের মধুখালীতে গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন মুকুল কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেনির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন ও ছাত্রীর দাদা বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ২৬ মে বৃহস্পতিবার ভিক্টিমের ছোট ভাই বই হারিয়ে ফেলে, বই আনার জন্য স্কুলে যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণী পুড়–য়া শিক্ষার্থী। স্কুলের লাইব্রেরীতে তখন একাকি বসে থাকা মোক্তার হোসেন মুকুল মাষ্টারের নিকট ছোট ভাইয়ের বই হারিয়ে যাওয়ার কথা ও বই চাইলে বই দেবার কথা বলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে যায় মুকুল মাষ্টার।

বই দেওয়ার পরিবর্তে মুকুল মাষ্টার শিশু শিক্ষার্থী (১১)কে একাকী পেয়ে জামার পিছনের চেন খুলে ফেলেন। সুযোগ বুঝে ছাত্রী দৌঁড়িয়ে নিজেকে মুক্ত করে বিষয়টি পরিবারকে অবগত করে। পরে এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ পরিস্থিতি সৃষ্ঠি হয়।

অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন মুকুল মাষ্টারকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছেন। বিদ্যালরয়র প্রধান শিক্ষিকা রোজিনা বেগম সাংবাদিকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা শিকার করেছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন বিষয়টির তদন্ত চলছে, প্রমানিত হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে বলেন তাকে প্রত্যাহার করে অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে । তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন মুকুল বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না । অভিযোগ প্রমানিত হলে চাকুরী চুত্যসহ প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে গ্রহন করা হবে।