ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গড়ে উঠেছে ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এর মধ্যে বোয়ালমারী পৌর সদরেই ১১টি অবস্থিত। এর মধ্যে ৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই। উপজেলার মাত্র ৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ লাইসেন্স থাকলেও, তাও আবার নবায়ন করা নাই।
অপরদিকে উপজেলায় ১২টি ক্লিনিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ব্যবসা। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক শনিবার (২৮ মে) বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত অবৈধ ক্লিনিকসমূহের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে কাগজপত্র না থাকায় পৌর শহরে অবস্থিত ১১টির মধ্যে ৭টি ক্লিনিকই বন্ধ করে দেন। বন্ধ করা ক্লিনিক সমূহ হলো স্বর্না সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আলনূর চক্ষু জেনারেল হাসপাতাল, সেতু সার্জিক্যাল ক্লিনিক, মর্ডাণ লেবরটারী, নূরজাহান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এ সময় ওয়াপদা মোড়ে অবস্থিত সেবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা, মডার্ন লেবরেটরীকে ৫ হাজার টাকা ও আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ নগরকান্দায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক ১৯৮২ সালের ( ৮) এর ১৩ ধারায় এ জরিমানা করেন।
জানা যায়, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের সুপারভিশন ও মনিটরিং বিষয়ে ২৫ মে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভার কার্যবিবরণী মোতাবেক পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া যে সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন কিন্তু নবায়ন করেনি তাদের নির্দিষ্ট সময় প্রদান করতে হবে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে কোন প্রতিষ্ঠান কোন কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার (২৮ মে) বিকেলে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক উপজেলার পৌর সদরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন। লাইসেন্স না থাকায় অভিযানের সংবাদ পেয়ে কয়েকটি লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা বন্ধ করে পালিয়ে যান।
প্রিন্ট