ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি নি:সন্তান শান্ত বেগমরা

সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাথা গোজার ঠাই করে দেওয়ার মিশন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী আশ্রায়ন প্রকল্প ২ এর আওতায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৬৩৮ টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৫টি ঘর গত অর্থবছরেই কাজ শেষ করে ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ অর্থবছরে ২৩৩ টি ঘরের কাজ চলমান থাকলেও ১৩৫ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে উপকারভোগীদের মাঝে।

এ ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়েছে অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীন বিধাব, নি:সন্তান নারী, পুরুষ যাদের মাথা গোজার ঠাই ছিলো না। আজ তারা ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। চোখে মুখে যেন আনন্দ অশ্রুর বান ডেকেছে।

একজন উপকারীভোগী প্যারালাইসিস রোগী দেলোয়ার বলেন, একটা সময় আমার জমি ছিলো, ঘরও ছিলো, প্যারালাইস হওয়ার পর সর্বোস্ব বিক্রি করে চিকিৎসা হয়েছি। তাতে ভালো হইনি আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আমি সর্বোস্ব হারিয়ে অন্যের বাড়ি ভাড়া থাকি দিন শেষে খাবার জোটে না, ঘর ভাড়াও দিতে পারি না। বাড়ির মালিকের গলাধাক্কা খেতে হতো। আজ আমার আর কারো বেশি কথা বা গলা ধাক্কা খেতে হবে না। ২শতাংশ জমিসহ একটি পাকা ঘর পেয়েছি খেয়ে থাকি আর না খেয়ে থাকি, দিন শেষে নিজের ঘরে ঘুমোতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ দীর্ঘদিন বাঁচায়ে রাখুক তার জন্য প্রান ভরে দোয়া করি।

আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে অজ্ঞাত নারীর মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার

খারদিয়া গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী বিধাব নি:সন্তান শান্ত বেগম বলেন, আমার থাকার জায়গা ছিলো না। অন্যের বাড়ির আঙ্গিনায় খুপড়ি ঘর করে কোন রকম থাকতাম আজ আমার ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর হয়েছে। ঘরের কাজ শেষ হলেই ঐ ঘরে বসবাস করতে পারবো। শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর আমাদের এই ঘর দিয়েছে, তার জন্য সব সময় দোয়া করি।

৬৮ বছর বয়সী ভিক্ষুক রজ্ঞনা বেগম বলেন, স্বামী সন্তান না থাকায় বৃদ্ধ বয়সে ভিক্ষা করে জীবন চালাই এক আত্মীয়র বাড়ির রাত্রিযাপন করতাম এখন আর অন্যের বাড়িতে থাকতে হবে না। ইউএনও স্যার একটি ঘর দিয়েছে আমি সারাদিন ভিক্ষা শেষে ঘরটি দেখতে যাই কবে ঐ ঘরে গিয়ে ঘুমবো।

আপনার কিছুই নাই ২ শতাংশ জমিসহ একটি পাকা ঘর পাচ্ছেন এতে আপনার কেমন লাগছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনদিন ভাবিনি নিজের একটি ঘরে ঘুমোতে পরবো। এহন ইউএনও স্যার একটি পাকাঘর আমার নামে দিয়েছে এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। শুনেছি এই ঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিছে আমি তার জন্য দোয়া করবো সারা জীবন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নির্মানাধীন ২৩৩ টি ঘরের মধ্যে ১৩৫ টি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর হলেও আংশিক কাজ বাকী থাকায় কোন উপকারভোগি ঘরে উঠেনি। নতুন ঘরে উঠার জন্য তালিকাভুক্তরা প্রতিনিয়তই ঘরের কাছে এসে ঘুরাঘুরি করছে। তাদের চোখে যেন আনন্দের ছাপ ভাসছে।

এদিকে নির্মানাধীন ঘর নিয়ে নানান ধরনের গুজ্ঞন থাকলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন অনেক উপকারভোগিরা তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

ঘর বাবদ ইউএনও অফিসের কোন লোক টাকা পয়সা চেয়েছে বা নিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানিয়েছেন কে ঘর করছে, কোথা থেকে ইট, বালু, খোয়া, সিমেন্ট,টিন, কাঠ আসছে আমরা জানি না। মেম্বার বাড়িতে গিয়ে খবর দিয়েছে সরকারী ঘর পেয়েছি অফিসে যেতে বলেছে। অফিসে গেলে আমাদের দলিলসহ একটি ফাইল দিয়েছে আর যার যার ঘর দেখিয়ে দিয়েছে। ফ্লোরে বালু ভরাট বা শ্রমিকের কাজ করানো এবং কোন মিস্ত্রীকে খাবার দেওয়া হয়েছে কিনা তাও তারা না বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

লক্ষনদিয়া এলাকায় এক জায়গায় ২৪ টি ঘরের দুই মাস যাবত নির্মাণের কাজ করছেন সাগর নামের একটি রাজমিস্ত্রী তিনি বলেন, আমি এই সরকারী ঘরের ইস্টিমেট বুঝে কাজ নিয়েছি, আমার এই সাইডে আজ পর্যন্ত কোন খারাপ মালপত্র আসেনি। এক নম্বর ইট, ভালো মানের সিমেন্ট, ইস্টিমেট অনুযায়ী রড দিয়ে কাজ করছি আমি, কাজে কোন অনিয়ম নেই। তারপরও একটু ভুল হলে যেমন রড বাধতে বা অন্য কোন কাজে ভুল হলে আমাদের কড়া ভাষায় কথা বলেন ইউএনও।

তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর,নিজের ঘরের মতো যত্ন করে করবেন। এজন্য আমরাও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। রামকান্তপুর গ্রামের আল-আমীন নামের রাজমিস্ত্রিী বলেন, আমি কুমারপট্টি এলাকায় ১৫ টি ঘরের কাজ করছি দুইমাস যাবত আমার আজবধী কোন দুই নম্বর জিনিসপত্র আসেনি আমার সাইডে। আমাকে সিডিউল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি।

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সালথায় আ’লীগের আলোচনা সভা

কাঠ মিস্ত্রী মামুন বলেন, এই কাজে যে টিন ধরা আছে সেই টিনই ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা কাঠ মিস্ত্রিীর কাজ করি টিনের কোয়ালিটি দেখলেই বুঝি, কোয়ালিটি সম্পর্ন টিন দিয়েই কাজ হচ্ছে। আর কাঠও সিজনিং ইউক্যালিপ্টাস কাঠ দিয়ে করা হচ্ছে। এব্যপারে কথা হয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমানের সাথে হলে তিনি বলেন, নির্মানাধীন অনেক ঘরই আমি পরিদর্শন করেছি। সব জায়গায় সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। যে উপকরণ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তার গুণগত মানও ভালো।

কথা হয় এই আশ্রায়ন প্রকল্প-২এর বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ বাড়ৈ এর সাথে তিনি বলেন, সব কাজের নির্মান সামগ্রী ইস্টিমেট অনুযায়ী ক্রয় করা হচ্ছে, গুনগত মান ঠিক রেখে। তবে কমিটির সভাপতি ইউএনও মহোদয় গনমাধ্যমে বক্তব্য দিবেন, আমার কোন বক্তব্য নাই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর তয় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে সালথা উপজেলায় ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২৩৩ টি ঘরের নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজে নির্দেশিত ডিজাইন মোতাবেক গুনগত মানসম্পর্ন নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পিআইও সর্বদা ইট, বালু ,সিমেন্ট, রড, টিন কাঠের গুনগত মান পরীক্ষা করে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আমরা কমিটির সবাইকে নিয়ে তদারকি করছি। এই ঘর নির্মান কাজে কখনো আপোষ করা হচ্ছে না। নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে গৃহ নির্মানের কোন সুযোগ নেই। নিন্মমানের কোন সামগ্রী কোন ডিলার যদি সাপ্লাই দেয় তাৎক্ষনিক সেটা ফেরৎ পাঠানো হয়। তাছাড়া সংস্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ স্থানীয়ভাবে এই ঘরের তদারকি করছেন। আমাদের অফিসের বিভিন্ন স্টাফ সর্বোক্ষনিক রয়েছে এই ঘরের তদারকির জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার পূরণে আমি এবং উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বদ্ধপরিকর।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

error: Content is protected !!

সালথায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি নি:সন্তান শান্ত বেগমরা

আপডেট টাইম : ১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাথা গোজার ঠাই করে দেওয়ার মিশন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী আশ্রায়ন প্রকল্প ২ এর আওতায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৬৩৮ টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৫টি ঘর গত অর্থবছরেই কাজ শেষ করে ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ অর্থবছরে ২৩৩ টি ঘরের কাজ চলমান থাকলেও ১৩৫ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে উপকারভোগীদের মাঝে।

এ ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়েছে অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীন বিধাব, নি:সন্তান নারী, পুরুষ যাদের মাথা গোজার ঠাই ছিলো না। আজ তারা ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। চোখে মুখে যেন আনন্দ অশ্রুর বান ডেকেছে।

একজন উপকারীভোগী প্যারালাইসিস রোগী দেলোয়ার বলেন, একটা সময় আমার জমি ছিলো, ঘরও ছিলো, প্যারালাইস হওয়ার পর সর্বোস্ব বিক্রি করে চিকিৎসা হয়েছি। তাতে ভালো হইনি আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আমি সর্বোস্ব হারিয়ে অন্যের বাড়ি ভাড়া থাকি দিন শেষে খাবার জোটে না, ঘর ভাড়াও দিতে পারি না। বাড়ির মালিকের গলাধাক্কা খেতে হতো। আজ আমার আর কারো বেশি কথা বা গলা ধাক্কা খেতে হবে না। ২শতাংশ জমিসহ একটি পাকা ঘর পেয়েছি খেয়ে থাকি আর না খেয়ে থাকি, দিন শেষে নিজের ঘরে ঘুমোতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ দীর্ঘদিন বাঁচায়ে রাখুক তার জন্য প্রান ভরে দোয়া করি।

আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে অজ্ঞাত নারীর মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার

খারদিয়া গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী বিধাব নি:সন্তান শান্ত বেগম বলেন, আমার থাকার জায়গা ছিলো না। অন্যের বাড়ির আঙ্গিনায় খুপড়ি ঘর করে কোন রকম থাকতাম আজ আমার ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর হয়েছে। ঘরের কাজ শেষ হলেই ঐ ঘরে বসবাস করতে পারবো। শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর আমাদের এই ঘর দিয়েছে, তার জন্য সব সময় দোয়া করি।

৬৮ বছর বয়সী ভিক্ষুক রজ্ঞনা বেগম বলেন, স্বামী সন্তান না থাকায় বৃদ্ধ বয়সে ভিক্ষা করে জীবন চালাই এক আত্মীয়র বাড়ির রাত্রিযাপন করতাম এখন আর অন্যের বাড়িতে থাকতে হবে না। ইউএনও স্যার একটি ঘর দিয়েছে আমি সারাদিন ভিক্ষা শেষে ঘরটি দেখতে যাই কবে ঐ ঘরে গিয়ে ঘুমবো।

আপনার কিছুই নাই ২ শতাংশ জমিসহ একটি পাকা ঘর পাচ্ছেন এতে আপনার কেমন লাগছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনদিন ভাবিনি নিজের একটি ঘরে ঘুমোতে পরবো। এহন ইউএনও স্যার একটি পাকাঘর আমার নামে দিয়েছে এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। শুনেছি এই ঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিছে আমি তার জন্য দোয়া করবো সারা জীবন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নির্মানাধীন ২৩৩ টি ঘরের মধ্যে ১৩৫ টি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর হলেও আংশিক কাজ বাকী থাকায় কোন উপকারভোগি ঘরে উঠেনি। নতুন ঘরে উঠার জন্য তালিকাভুক্তরা প্রতিনিয়তই ঘরের কাছে এসে ঘুরাঘুরি করছে। তাদের চোখে যেন আনন্দের ছাপ ভাসছে।

এদিকে নির্মানাধীন ঘর নিয়ে নানান ধরনের গুজ্ঞন থাকলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন অনেক উপকারভোগিরা তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

ঘর বাবদ ইউএনও অফিসের কোন লোক টাকা পয়সা চেয়েছে বা নিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানিয়েছেন কে ঘর করছে, কোথা থেকে ইট, বালু, খোয়া, সিমেন্ট,টিন, কাঠ আসছে আমরা জানি না। মেম্বার বাড়িতে গিয়ে খবর দিয়েছে সরকারী ঘর পেয়েছি অফিসে যেতে বলেছে। অফিসে গেলে আমাদের দলিলসহ একটি ফাইল দিয়েছে আর যার যার ঘর দেখিয়ে দিয়েছে। ফ্লোরে বালু ভরাট বা শ্রমিকের কাজ করানো এবং কোন মিস্ত্রীকে খাবার দেওয়া হয়েছে কিনা তাও তারা না বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

লক্ষনদিয়া এলাকায় এক জায়গায় ২৪ টি ঘরের দুই মাস যাবত নির্মাণের কাজ করছেন সাগর নামের একটি রাজমিস্ত্রী তিনি বলেন, আমি এই সরকারী ঘরের ইস্টিমেট বুঝে কাজ নিয়েছি, আমার এই সাইডে আজ পর্যন্ত কোন খারাপ মালপত্র আসেনি। এক নম্বর ইট, ভালো মানের সিমেন্ট, ইস্টিমেট অনুযায়ী রড দিয়ে কাজ করছি আমি, কাজে কোন অনিয়ম নেই। তারপরও একটু ভুল হলে যেমন রড বাধতে বা অন্য কোন কাজে ভুল হলে আমাদের কড়া ভাষায় কথা বলেন ইউএনও।

তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর,নিজের ঘরের মতো যত্ন করে করবেন। এজন্য আমরাও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। রামকান্তপুর গ্রামের আল-আমীন নামের রাজমিস্ত্রিী বলেন, আমি কুমারপট্টি এলাকায় ১৫ টি ঘরের কাজ করছি দুইমাস যাবত আমার আজবধী কোন দুই নম্বর জিনিসপত্র আসেনি আমার সাইডে। আমাকে সিডিউল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি।

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সালথায় আ’লীগের আলোচনা সভা

কাঠ মিস্ত্রী মামুন বলেন, এই কাজে যে টিন ধরা আছে সেই টিনই ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা কাঠ মিস্ত্রিীর কাজ করি টিনের কোয়ালিটি দেখলেই বুঝি, কোয়ালিটি সম্পর্ন টিন দিয়েই কাজ হচ্ছে। আর কাঠও সিজনিং ইউক্যালিপ্টাস কাঠ দিয়ে করা হচ্ছে। এব্যপারে কথা হয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমানের সাথে হলে তিনি বলেন, নির্মানাধীন অনেক ঘরই আমি পরিদর্শন করেছি। সব জায়গায় সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। যে উপকরণ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তার গুণগত মানও ভালো।

কথা হয় এই আশ্রায়ন প্রকল্প-২এর বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ বাড়ৈ এর সাথে তিনি বলেন, সব কাজের নির্মান সামগ্রী ইস্টিমেট অনুযায়ী ক্রয় করা হচ্ছে, গুনগত মান ঠিক রেখে। তবে কমিটির সভাপতি ইউএনও মহোদয় গনমাধ্যমে বক্তব্য দিবেন, আমার কোন বক্তব্য নাই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর তয় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে সালথা উপজেলায় ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২৩৩ টি ঘরের নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজে নির্দেশিত ডিজাইন মোতাবেক গুনগত মানসম্পর্ন নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পিআইও সর্বদা ইট, বালু ,সিমেন্ট, রড, টিন কাঠের গুনগত মান পরীক্ষা করে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আমরা কমিটির সবাইকে নিয়ে তদারকি করছি। এই ঘর নির্মান কাজে কখনো আপোষ করা হচ্ছে না। নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে গৃহ নির্মানের কোন সুযোগ নেই। নিন্মমানের কোন সামগ্রী কোন ডিলার যদি সাপ্লাই দেয় তাৎক্ষনিক সেটা ফেরৎ পাঠানো হয়। তাছাড়া সংস্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ স্থানীয়ভাবে এই ঘরের তদারকি করছেন। আমাদের অফিসের বিভিন্ন স্টাফ সর্বোক্ষনিক রয়েছে এই ঘরের তদারকির জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার পূরণে আমি এবং উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বদ্ধপরিকর।