ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে পেটালেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

অভিযুক্ত চেয়ারম্যানআরিফুর রহমান পথিক তালুকদার ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ তালুকদার।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পেটালেন বলে অভিযোগ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান পথিক তালুকদার। তিনি উপজেলার চরযোশরদি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক (বহিস্কৃত)। ১৩ মে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, দহিসারা গ্রামের শারিরিক প্রতিবন্ধী আতিয়ার শেখের ছেলে সোহাগ শেখের বিবাহের অনুষ্ঠান চলছিলো। উক্ত অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয় ইউপি চেয়ারম্যান। এক পর্যায়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে ঐ দিন রাতে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালায় । এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ তালুকদার ওরফে হিরু (৮০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। আহত মুক্তিযোদ্ধা দহিসারা গ্রামের মৃত মমিনুদ্দিন তালুকদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে, চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার ও তার ভাই পলাশ তালুকদার, তারেক তালুকদার সহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নগরকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

প্রতিবন্ধী আতিয়ার শেখ বলেন, আমি গরিব মানুষ আমার ছেলের বিয়েতে বড় কোনো অনুষ্ঠান করেতে পারিনি। তাই আমার নিজস্ব লোকজনদের দাওয়াত করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যানকে দাওয়াত না দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলের বিয়েতে বাধা এবং হামলা চালায়।

আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান বিয়েতে দাওয়াত না পেয়ে নিজে তার দলবল বিয়ে বান্ধ করার জন্য হামলা করে। আমি চেয়ারম্যানকে বুঝাতে এগিয়ে যাই। তখন ওরা আমার উপর হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার বলেন, আতিয়ার শেখ তার ছেলের বিয়েতে মুক্তিযোদ্ধার কথা অনুযায়ী বেছে বেছে দাওয়াত দিয়েছে। এমনকি তার দলের মাতুব্বরদের ও দাওয়াত দেয়নি। আর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি সম্পুর্ন বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই তারা এমন নাটক সাজিয়েছে।

নগরকান্দা থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্যামনগরে ব্যতিক্রমী এক কর্মশালায় পুরুষদের ধারনা, নারীদের অগ্রসরে প্রয়োজন পুরুষদের সহযোগিতা

error: Content is protected !!

বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে পেটালেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টার, নগরকান্দাঃ :

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পেটালেন বলে অভিযোগ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান পথিক তালুকদার। তিনি উপজেলার চরযোশরদি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক (বহিস্কৃত)। ১৩ মে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, দহিসারা গ্রামের শারিরিক প্রতিবন্ধী আতিয়ার শেখের ছেলে সোহাগ শেখের বিবাহের অনুষ্ঠান চলছিলো। উক্ত অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয় ইউপি চেয়ারম্যান। এক পর্যায়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে ঐ দিন রাতে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালায় । এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ তালুকদার ওরফে হিরু (৮০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। আহত মুক্তিযোদ্ধা দহিসারা গ্রামের মৃত মমিনুদ্দিন তালুকদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে, চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার ও তার ভাই পলাশ তালুকদার, তারেক তালুকদার সহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নগরকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

প্রতিবন্ধী আতিয়ার শেখ বলেন, আমি গরিব মানুষ আমার ছেলের বিয়েতে বড় কোনো অনুষ্ঠান করেতে পারিনি। তাই আমার নিজস্ব লোকজনদের দাওয়াত করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যানকে দাওয়াত না দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলের বিয়েতে বাধা এবং হামলা চালায়।

আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান বিয়েতে দাওয়াত না পেয়ে নিজে তার দলবল বিয়ে বান্ধ করার জন্য হামলা করে। আমি চেয়ারম্যানকে বুঝাতে এগিয়ে যাই। তখন ওরা আমার উপর হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার বলেন, আতিয়ার শেখ তার ছেলের বিয়েতে মুক্তিযোদ্ধার কথা অনুযায়ী বেছে বেছে দাওয়াত দিয়েছে। এমনকি তার দলের মাতুব্বরদের ও দাওয়াত দেয়নি। আর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি সম্পুর্ন বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই তারা এমন নাটক সাজিয়েছে।

নগরকান্দা থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রিন্ট