ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দুই বছর পর আধ্যাত্মিক সাধক

আজ ভেড়ামারা সোলাইমান শাহ্ (র.) ওরশ ও গ্রামীণ মেলা শুরু হচ্ছে

দুই বছর পর কুষ্টিয়া ভেড়ামারার আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র.) ওরশ ও  গ্রামীণ মেলা উদযাপন হতে যাচ্ছে।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই  বছর বন্ধ থাকলে ও আগামীকাল ১০ এপ্রিল থেকে  ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩দিনব্যাপী ওরশ ও গ্রামীণ মেলা শুরু হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র.) এবার ৫১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ওরশ শরীফ। প্রতি বছর দেশ বিদেশের লাখ লাখ ভক্ত ৩দিনব্যাপী ওরশ মোবারকে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে আগমন ঘটে থাকে।

জেলার ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের চর গোলাপনগরের পদ্মার তীরে আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র.) মাজার অবস্থিত। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বিগত দিনের মত এবারও ওরশ ও গ্রামীন মেলায় লাখো ভক্ত, আশেকান ও দর্শনার্থীদের আগমন মিলন মেলায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মাজারের  ভক্ত আশেকানরা।

সূত্র আরও জানায়, হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) নামে এক আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ ভেড়ামারার  চরগোলাপনগর গ্রামের পদ্মা নদীর তীরে সবুজ গাছপালায় ঘেরা মনোরম, প্রাকৃতিক ও নিরিবিলি পরিবেশে বসবাস করতেন। এখানেই তিনি ধর্ম চর্চার জন্য দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করে সাধনায় মগ্ন থাকতেন।
১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদারের গুলিতে শহীদ হন হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) সহ তাঁর ৬ জন সহচর। সাধনা স্থলেই তাকেসহ সহচরদের  দাফন করা হয়।

এরপর থেকেই সেখানে গড়ে ওঠে মাজার শরীফ। সারা দেশ ও বিদেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত, আশেকান প্রতি বছর চৈত্র মাসের ২৭, ২৮ও ২৯ তারিখ এই তিন দিন ব্যাপী ওরশউপলক্ষে সমবেত হন। ওরশকে ঘিরে প্রতিবছরের লাখো ভক্ত আশেকানদের মিলন মেলায়  পরিণত হয় গোলাপনগর দরবার শরীফ। এছাড়াও মাজার এলাকায় শত শত স্টল ও রকমারি দোকান দিয়ে গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

গোলাপনগর সোলাইমান শাহ (র.) মাজার শরীফের ভক্ত সাহাবুল ইসলাম  বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ওরশে সমস্ত  কার্যক্রম ও জনসমাগম বন্ধ রাখা হয়েছিলো।

ইতিপূর্বে ওরশ মোবারকের তিন দিনে ১০থেকে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটতো। এবার রোজার মাস সেজন্য কম হতে পারে। ধারণা করছি ৪ থেকে ৫ লাখ  ভক্ত, আশেকান ও দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে।

গোলাপনগর সোলাইমান শাহ দরবার ও মাজার শরীফের খাদেম রবিউল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে  বন্ধ ছিলো। দুই বছর পর আবারও পূর্বের ন্যায় (বাংলা ২৭চৈত্র থেকে ২৯ চৈত্র) ৩ দিন ব্যাপি হযরত মাওলানা বাবা সোলাইমান শাহ চিশতী (রঃ)এর মাজারে পবিত্র ওরশ মোবারক উৎযাপিত হবে।

তিনি বলেন, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।   মাজার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকারসহ কমিটির সদস্যরা প্রস্তুতির সবকিছু  দেখভালো করছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

দুই বছর পর আধ্যাত্মিক সাধক

আজ ভেড়ামারা সোলাইমান শাহ্ (র.) ওরশ ও গ্রামীণ মেলা শুরু হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :
দুই বছর পর কুষ্টিয়া ভেড়ামারার আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র.) ওরশ ও  গ্রামীণ মেলা উদযাপন হতে যাচ্ছে।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই  বছর বন্ধ থাকলে ও আগামীকাল ১০ এপ্রিল থেকে  ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩দিনব্যাপী ওরশ ও গ্রামীণ মেলা শুরু হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র.) এবার ৫১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ওরশ শরীফ। প্রতি বছর দেশ বিদেশের লাখ লাখ ভক্ত ৩দিনব্যাপী ওরশ মোবারকে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে আগমন ঘটে থাকে।

জেলার ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের চর গোলাপনগরের পদ্মার তীরে আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র.) মাজার অবস্থিত। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বিগত দিনের মত এবারও ওরশ ও গ্রামীন মেলায় লাখো ভক্ত, আশেকান ও দর্শনার্থীদের আগমন মিলন মেলায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মাজারের  ভক্ত আশেকানরা।

সূত্র আরও জানায়, হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) নামে এক আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ ভেড়ামারার  চরগোলাপনগর গ্রামের পদ্মা নদীর তীরে সবুজ গাছপালায় ঘেরা মনোরম, প্রাকৃতিক ও নিরিবিলি পরিবেশে বসবাস করতেন। এখানেই তিনি ধর্ম চর্চার জন্য দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করে সাধনায় মগ্ন থাকতেন।
১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদারের গুলিতে শহীদ হন হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) সহ তাঁর ৬ জন সহচর। সাধনা স্থলেই তাকেসহ সহচরদের  দাফন করা হয়।

এরপর থেকেই সেখানে গড়ে ওঠে মাজার শরীফ। সারা দেশ ও বিদেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত, আশেকান প্রতি বছর চৈত্র মাসের ২৭, ২৮ও ২৯ তারিখ এই তিন দিন ব্যাপী ওরশউপলক্ষে সমবেত হন। ওরশকে ঘিরে প্রতিবছরের লাখো ভক্ত আশেকানদের মিলন মেলায়  পরিণত হয় গোলাপনগর দরবার শরীফ। এছাড়াও মাজার এলাকায় শত শত স্টল ও রকমারি দোকান দিয়ে গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

গোলাপনগর সোলাইমান শাহ (র.) মাজার শরীফের ভক্ত সাহাবুল ইসলাম  বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ওরশে সমস্ত  কার্যক্রম ও জনসমাগম বন্ধ রাখা হয়েছিলো।

ইতিপূর্বে ওরশ মোবারকের তিন দিনে ১০থেকে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটতো। এবার রোজার মাস সেজন্য কম হতে পারে। ধারণা করছি ৪ থেকে ৫ লাখ  ভক্ত, আশেকান ও দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে।

গোলাপনগর সোলাইমান শাহ দরবার ও মাজার শরীফের খাদেম রবিউল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে  বন্ধ ছিলো। দুই বছর পর আবারও পূর্বের ন্যায় (বাংলা ২৭চৈত্র থেকে ২৯ চৈত্র) ৩ দিন ব্যাপি হযরত মাওলানা বাবা সোলাইমান শাহ চিশতী (রঃ)এর মাজারে পবিত্র ওরশ মোবারক উৎযাপিত হবে।

তিনি বলেন, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।   মাজার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকারসহ কমিটির সদস্যরা প্রস্তুতির সবকিছু  দেখভালো করছেন।


প্রিন্ট