ঢাকা , রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ! Logo ভেড়ামারায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১ Logo বাঘায় আ’লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সহ সকল খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo সুন্দরবন সেবা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo আলফাডাঙ্গায় অপসারিত মেয়রের বিরুদ্ধে অবঃ সচিবের সংবাদ সম্মেলন Logo কালুখালীতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ায় আলোর মশালের শীতবস্ত্র বিতরণ Logo রূপপুরে ভবন থেকে লাফিয়ে প্রাণ দিলেন রুশ নারী Logo মুকসুদপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo মধুখালীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়ঃ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন

বিভিন্ন ধরনের আইনি বাধা এবং প্রক্রিয়াগত সমস্যার কারণে আগামী তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন।

ইসিপির ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (ডন যাঁর নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, একটি সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর কারণে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় আসনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।

ইসিপির কর্মকর্তা বলেন, ‘এরপর নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করাও একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আইন অনুযায়ী শুধু আপত্তি জানানোর জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া রয়েছে। অথচ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অন্তত তিন মাস সময় দরকার। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা আরেকটি বিশাল কাজ।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, ব্যালট পেপারের ব্যবস্থা এবং ভোটগ্রহণে কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ প্রদান—সব মিলিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ। আইনে বলা হয়েছে, জলছাপ চিহ্নিত (ওয়াটার মার্ক) ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এ ধরনের ব্যালট পেপার দেশে পাওয়া যায় না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ইমরানই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তবে…

ইসিপি ‘জলছাপ চিহ্নিত’ ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ‘নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য’সম্পন্ন ব্যালট পেপার ব্যবহারের জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচনী সামগ্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১ লাখ ভোটকেন্দ্রের জন্য কমপক্ষে ২০ লাখ স্ট্যাম্প প্যাডের প্রয়োজন হবে। এটি কেবল একটি উদাহরণ। কাঁচি এবং বল পয়েন্টসহ বিপুল পরিমাণে অন্যান্য উপকরণও সংগ্রহ করতে হবে।

কিছু আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন আইনের ১৪ ধারা অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্তত চার মাস আগে নির্বাচন কমিশনকে তার নির্বাচনী পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হয়। এ ছাড়া ইভিএম ব্যবহার করে ভোট দেওয়ার বিষয়টিও আইনে রয়েছে, যেটি আসলে বাতিল করতে হবে।

কমিশন ইতিমধ্যে বেলুচিস্তানে স্থানীয় সরকার (এলজি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে বলেও জানান তিনি। আগামী ২৯ মে ভোটের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঞ্জাব, সিন্ধু ও ইসলামাবাদে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া চলছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা !

error: Content is protected !!

তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়ঃ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন

আপডেট টাইম : ১২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ :

বিভিন্ন ধরনের আইনি বাধা এবং প্রক্রিয়াগত সমস্যার কারণে আগামী তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন।

ইসিপির ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (ডন যাঁর নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, একটি সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর কারণে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় আসনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।

ইসিপির কর্মকর্তা বলেন, ‘এরপর নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করাও একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আইন অনুযায়ী শুধু আপত্তি জানানোর জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া রয়েছে। অথচ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অন্তত তিন মাস সময় দরকার। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা আরেকটি বিশাল কাজ।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, ব্যালট পেপারের ব্যবস্থা এবং ভোটগ্রহণে কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ প্রদান—সব মিলিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ। আইনে বলা হয়েছে, জলছাপ চিহ্নিত (ওয়াটার মার্ক) ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এ ধরনের ব্যালট পেপার দেশে পাওয়া যায় না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ইমরানই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তবে…

ইসিপি ‘জলছাপ চিহ্নিত’ ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ‘নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য’সম্পন্ন ব্যালট পেপার ব্যবহারের জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচনী সামগ্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১ লাখ ভোটকেন্দ্রের জন্য কমপক্ষে ২০ লাখ স্ট্যাম্প প্যাডের প্রয়োজন হবে। এটি কেবল একটি উদাহরণ। কাঁচি এবং বল পয়েন্টসহ বিপুল পরিমাণে অন্যান্য উপকরণও সংগ্রহ করতে হবে।

কিছু আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন আইনের ১৪ ধারা অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্তত চার মাস আগে নির্বাচন কমিশনকে তার নির্বাচনী পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হয়। এ ছাড়া ইভিএম ব্যবহার করে ভোট দেওয়ার বিষয়টিও আইনে রয়েছে, যেটি আসলে বাতিল করতে হবে।

কমিশন ইতিমধ্যে বেলুচিস্তানে স্থানীয় সরকার (এলজি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে বলেও জানান তিনি। আগামী ২৯ মে ভোটের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঞ্জাব, সিন্ধু ও ইসলামাবাদে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া চলছে।


প্রিন্ট