ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ইউক্রেনের রাস্তায় রাস্তায় লাশ

ইউক্রেনের শহরগুলো এখন যেন মৃতের ভাগাড়। আবর্জনার স্তূপে, রাস্তায় রাস্তায় পড়ে আছে শুধু লাশ আর লাশ। পুরোপুরি শান্ত এবং ভূতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে বুচা। যতদূর চোখ যায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাইনগাছগুলো। আর তাদের সামনেই সারিবদ্ধ হয়ে শুয়ে আছে লাশ হয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় বেসামরিক মানুষগুলো। দূর থেকে দেখে ভুল করে তাদের মনে হবে শুয়ে থাকা পাইন গাছের সারি।

ইউক্রেনের কিয়েভ ওব্লাস্টের শহর বুচার আকাশ তখন মেঘলা। রুশ নারকীয় হামলার এক জ্বলন্ত সাক্ষী। শহরটিতে ঢুকেই দ্বিধাগ্রস্ত হন এএফপির সংবাদকর্মীরা। এ যেন লাশ দিয়ে সাজানো সড়ক। কারও বুক বুলেট দিয়ে ঝাঁঝরা, কেউবা যেন গাড়ির তলায় পিষ্ট। কারও দু’হাত আবার পেছন দিকে জোড় করে বাঁধা। পাশেই পড়ে আছে কোনো হতভাগার ইউক্রেনীয় পাসপোর্ট। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কিয়েভের আশপাশের অঞ্চল থেকে রাশিয়ার দ্রুত পশ্চাৎপসারণ নতুন ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে। যেতে যেতে যাকে সামনে পেয়েছে, মেরে চলে গেছে রুশরা।

শহরের মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক বলেন, ‘এই লোকগুলোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কারও মাথার পেছন দিকে, কারও বুকে গুলি করেছে পিশাচরা।’ তিনি জানিয়েছেন, পুরো একটি পরিবারকে হত্যা করেছে রুশ সেনারা। ওদের লাশ একটি গাড়িতে রাখা হয়েছে। আরও ২৮০ জনকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে। বুচা এবং ইরপিনের মতো শহরে এক মাসের ভয়ানক যুদ্ধের কারণে মস্কোবাহিনী ২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী কিয়েভকে ঘিরে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ক্ষোভটাই যেন তারা ঝেড়েছে সাধারণ মানুষগুলোর ওপর।

রাশিয়ানদের শেল বিস্ফোরণে বিশাল বিশাল গর্ত হয়েছে শহরের রাস্তাগুলোতে। ধ্বংস হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন। সুপারমার্কেট, ক্যাফে, গির্জা- কিছুই বাদ যায়নি তাদের আঘাত থেকে। এগুলোর কিছু পুড়ে একেবারে ছাই, কিছু পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। এলোমেলোভাবে লাশ পড়ে আছে রেলস্টেশনের বাইরে, রাস্তার পাশে। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই পুরুষ বলেই মনে হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এএফপি সাংবাদিকদের প্রত্যক্ষ করা ২০টি লাশের মধ্যে ১৬টি হয় ফুটপাতে না হয় কিনারায় কাত হয়ে কিংবা উপুড় হয়ে পড়েছিল। কারও কারও লাশ ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির উঠোনে।

কারও কারও লাশ ছিল যৌথভাবে বন্ধনীর মধ্যে। একে অন্যের দিকে মুখ করে যেন শুয়ে আছে, একজনের গায়ে ছিল সবুজ পার্কার, অন্যজন মোড়া কালো জ্যাকেটে। তাদেরই পাশে পড়ে ছিল একজন সাইক্লিস্টের লাশ। জীর্ণশীর্ণ সাইকেলটি নিয়ে কোনোমতেই যেন পালাতে পারেনি সে।

বুচায় যারা বেঁচে আছেন, কিংবা আহত হয়েছেন তাদের সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত শহরের মেয়র। শনিবার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এ কারণে বাকি মৃতদেহগুলোকে আরও কিছু সময় দাফনহীন অবস্থায় শুয়ে থাকতে হবে। সবুজ মিলিটারি ট্রাকের পেছনে খাবার ও ওষুধ নিয়ে মানুষের বাড়ির সামনে হাজির হচ্ছেন কর্মীরা। এখানেও চাদরে মোড়া একটি লাশকে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়েছে কর্মীদের।

আরও পড়ুনঃ বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় কারণে এসিড নিক্ষেপ

ইউক্রেন শনিবার জানিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভ থেকে দ্রুত পশ্চাৎপসারণ করায় এক মাসের মধ্যে এই প্রথম কোনো জাতীয় বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো। ইউক্রেনের স্বেচ্ছাসেবক আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা স্কোয়াডের একজন সিনিয়র সদস্য ইউরি বিরিউকভ বলেছেন, ‘লোকেরা আমাদের দেখে দৌড়ে পালাচ্ছে। বুচার বাসিন্দারা এখনো ভীত সন্ত্রস্ত, তারা হতবাক।’ কারণ, এমন বীভৎস হত্যাকাণ্ড আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেনি বুচাবাসী। ৮২ বছর বয়সি নাদিয়া প্রটোপোপোভা বলেন, ‘পিশাচরা চলে গেছে, এবার যদি একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারি।’

রুশদের মারতে নিজেরাই ড্রোন বানাচ্ছে ‘লিভিভের পাইলটরা’ : ইউক্রেনের পশ্চিমে লিভিভ শহরে ৬ সদস্যদের একটি দল ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে। মাত্র এক মাস ব্যবধানে তারা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য ৪০টি ড্রোন তৈরি করেছে। বাইরের দৃষ্টি এড়াতে তারা ভূগর্ভস্থ অংশে এটি তৈরি করছে জানালাগুলো টেপ লাগানো। ‘নেব্লো কার বা ওপর থেকে শাস্তি’ নামে এই টিম ইউক্রেনের সামারিকা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। পূর্বে তারা রেসলিং সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। একটি ভিডিও এবং কিছু ছবিতে এলোমেলো টেবিলে কয়েকটি ড্রোন দেখা যায়।

ঘরের এক প্রান্তে অংশগুলো একটি ওয়ার্কবেঞ্চজুড়ে বিছিয়ে রয়েছে মাইক্রোচিপ দিয়ে বিন্দুযুক্ত সার্কিট বোর্ড, বৈদ্যুতিক তারের থ্রেড, বাল্বযুক্ত বৈদ্যুতি তারের বাল্বযুক্ত সার্কিড কোড। অনেক ধরনের ড্রোন তৈরি করছে তার। একটি ড্রোন এক্স আকৃতির বোতলসদৃশ গ্রেনেড বহনে সক্ষম। এই ড্রোনটি অ্যান্টি ট্যাংক গ্রেনেট বহনের জন্য তৈরি। আরও দুটি ড্রোন দেখা যায় কোয়াড প্রোপেলারের সঙ্গে লাগানো। এগুলো ক্ষুদ্র বোমা বহনের জন্য তৈরি। রশিয়ান পদাতিক বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম এই ড্রোন। আর্টিলার স্কোয়াটগুলোর জন্য শিকারি পাখির মতো ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। তদের জন্য ১০ জন পরামর্শদাতা রয়েছেন। অনলাইনে যোগাযোগ রয়েছে ৮৭৭ জন বিশেষজ্ঞের। সামরিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কাজ করছেন তারা। ড্রোনগুলো যুদ্ধের হটস্পট খুঁজে বের করছে। আলেক্স এই ড্রোন তৈরিতে কাজ করছেন, তার দাবি এই ড্রোন তৈরিতে যতটা খারচ কার্যকর তার চেয়ে বেশি। আইফোন তৈরির সরঞ্জামের চেয়ে কম খরচ এটির। চীনা কিছু খুচরা অনলাইন বিক্রেতা এসবের বিভিন্ন পার্স সরবরাহ করে ইউরোপে। আলেক্স বলেন, একজন সাধারণ পাইলট থাকে যে এসব পরিচালনা করতে অভ্যস্ত, ‘সে পাখির ওপর দিয়ে যেতে পারে এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সে তার প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে পারবে।’ এপি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তীব্র তাপদাহে গোপালগঞ্জ পুলিশের মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন

error: Content is protected !!

ইউক্রেনের রাস্তায় রাস্তায় লাশ

আপডেট টাইম : ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

ইউক্রেনের শহরগুলো এখন যেন মৃতের ভাগাড়। আবর্জনার স্তূপে, রাস্তায় রাস্তায় পড়ে আছে শুধু লাশ আর লাশ। পুরোপুরি শান্ত এবং ভূতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে বুচা। যতদূর চোখ যায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাইনগাছগুলো। আর তাদের সামনেই সারিবদ্ধ হয়ে শুয়ে আছে লাশ হয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় বেসামরিক মানুষগুলো। দূর থেকে দেখে ভুল করে তাদের মনে হবে শুয়ে থাকা পাইন গাছের সারি।

ইউক্রেনের কিয়েভ ওব্লাস্টের শহর বুচার আকাশ তখন মেঘলা। রুশ নারকীয় হামলার এক জ্বলন্ত সাক্ষী। শহরটিতে ঢুকেই দ্বিধাগ্রস্ত হন এএফপির সংবাদকর্মীরা। এ যেন লাশ দিয়ে সাজানো সড়ক। কারও বুক বুলেট দিয়ে ঝাঁঝরা, কেউবা যেন গাড়ির তলায় পিষ্ট। কারও দু’হাত আবার পেছন দিকে জোড় করে বাঁধা। পাশেই পড়ে আছে কোনো হতভাগার ইউক্রেনীয় পাসপোর্ট। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কিয়েভের আশপাশের অঞ্চল থেকে রাশিয়ার দ্রুত পশ্চাৎপসারণ নতুন ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে। যেতে যেতে যাকে সামনে পেয়েছে, মেরে চলে গেছে রুশরা।

শহরের মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক বলেন, ‘এই লোকগুলোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কারও মাথার পেছন দিকে, কারও বুকে গুলি করেছে পিশাচরা।’ তিনি জানিয়েছেন, পুরো একটি পরিবারকে হত্যা করেছে রুশ সেনারা। ওদের লাশ একটি গাড়িতে রাখা হয়েছে। আরও ২৮০ জনকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে। বুচা এবং ইরপিনের মতো শহরে এক মাসের ভয়ানক যুদ্ধের কারণে মস্কোবাহিনী ২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী কিয়েভকে ঘিরে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ক্ষোভটাই যেন তারা ঝেড়েছে সাধারণ মানুষগুলোর ওপর।

রাশিয়ানদের শেল বিস্ফোরণে বিশাল বিশাল গর্ত হয়েছে শহরের রাস্তাগুলোতে। ধ্বংস হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন। সুপারমার্কেট, ক্যাফে, গির্জা- কিছুই বাদ যায়নি তাদের আঘাত থেকে। এগুলোর কিছু পুড়ে একেবারে ছাই, কিছু পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। এলোমেলোভাবে লাশ পড়ে আছে রেলস্টেশনের বাইরে, রাস্তার পাশে। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই পুরুষ বলেই মনে হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এএফপি সাংবাদিকদের প্রত্যক্ষ করা ২০টি লাশের মধ্যে ১৬টি হয় ফুটপাতে না হয় কিনারায় কাত হয়ে কিংবা উপুড় হয়ে পড়েছিল। কারও কারও লাশ ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির উঠোনে।

কারও কারও লাশ ছিল যৌথভাবে বন্ধনীর মধ্যে। একে অন্যের দিকে মুখ করে যেন শুয়ে আছে, একজনের গায়ে ছিল সবুজ পার্কার, অন্যজন মোড়া কালো জ্যাকেটে। তাদেরই পাশে পড়ে ছিল একজন সাইক্লিস্টের লাশ। জীর্ণশীর্ণ সাইকেলটি নিয়ে কোনোমতেই যেন পালাতে পারেনি সে।

বুচায় যারা বেঁচে আছেন, কিংবা আহত হয়েছেন তাদের সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত শহরের মেয়র। শনিবার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এ কারণে বাকি মৃতদেহগুলোকে আরও কিছু সময় দাফনহীন অবস্থায় শুয়ে থাকতে হবে। সবুজ মিলিটারি ট্রাকের পেছনে খাবার ও ওষুধ নিয়ে মানুষের বাড়ির সামনে হাজির হচ্ছেন কর্মীরা। এখানেও চাদরে মোড়া একটি লাশকে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়েছে কর্মীদের।

আরও পড়ুনঃ বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় কারণে এসিড নিক্ষেপ

ইউক্রেন শনিবার জানিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভ থেকে দ্রুত পশ্চাৎপসারণ করায় এক মাসের মধ্যে এই প্রথম কোনো জাতীয় বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো। ইউক্রেনের স্বেচ্ছাসেবক আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা স্কোয়াডের একজন সিনিয়র সদস্য ইউরি বিরিউকভ বলেছেন, ‘লোকেরা আমাদের দেখে দৌড়ে পালাচ্ছে। বুচার বাসিন্দারা এখনো ভীত সন্ত্রস্ত, তারা হতবাক।’ কারণ, এমন বীভৎস হত্যাকাণ্ড আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেনি বুচাবাসী। ৮২ বছর বয়সি নাদিয়া প্রটোপোপোভা বলেন, ‘পিশাচরা চলে গেছে, এবার যদি একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারি।’

রুশদের মারতে নিজেরাই ড্রোন বানাচ্ছে ‘লিভিভের পাইলটরা’ : ইউক্রেনের পশ্চিমে লিভিভ শহরে ৬ সদস্যদের একটি দল ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে। মাত্র এক মাস ব্যবধানে তারা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য ৪০টি ড্রোন তৈরি করেছে। বাইরের দৃষ্টি এড়াতে তারা ভূগর্ভস্থ অংশে এটি তৈরি করছে জানালাগুলো টেপ লাগানো। ‘নেব্লো কার বা ওপর থেকে শাস্তি’ নামে এই টিম ইউক্রেনের সামারিকা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। পূর্বে তারা রেসলিং সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। একটি ভিডিও এবং কিছু ছবিতে এলোমেলো টেবিলে কয়েকটি ড্রোন দেখা যায়।

ঘরের এক প্রান্তে অংশগুলো একটি ওয়ার্কবেঞ্চজুড়ে বিছিয়ে রয়েছে মাইক্রোচিপ দিয়ে বিন্দুযুক্ত সার্কিট বোর্ড, বৈদ্যুতিক তারের থ্রেড, বাল্বযুক্ত বৈদ্যুতি তারের বাল্বযুক্ত সার্কিড কোড। অনেক ধরনের ড্রোন তৈরি করছে তার। একটি ড্রোন এক্স আকৃতির বোতলসদৃশ গ্রেনেড বহনে সক্ষম। এই ড্রোনটি অ্যান্টি ট্যাংক গ্রেনেট বহনের জন্য তৈরি। আরও দুটি ড্রোন দেখা যায় কোয়াড প্রোপেলারের সঙ্গে লাগানো। এগুলো ক্ষুদ্র বোমা বহনের জন্য তৈরি। রশিয়ান পদাতিক বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম এই ড্রোন। আর্টিলার স্কোয়াটগুলোর জন্য শিকারি পাখির মতো ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। তদের জন্য ১০ জন পরামর্শদাতা রয়েছেন। অনলাইনে যোগাযোগ রয়েছে ৮৭৭ জন বিশেষজ্ঞের। সামরিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কাজ করছেন তারা। ড্রোনগুলো যুদ্ধের হটস্পট খুঁজে বের করছে। আলেক্স এই ড্রোন তৈরিতে কাজ করছেন, তার দাবি এই ড্রোন তৈরিতে যতটা খারচ কার্যকর তার চেয়ে বেশি। আইফোন তৈরির সরঞ্জামের চেয়ে কম খরচ এটির। চীনা কিছু খুচরা অনলাইন বিক্রেতা এসবের বিভিন্ন পার্স সরবরাহ করে ইউরোপে। আলেক্স বলেন, একজন সাধারণ পাইলট থাকে যে এসব পরিচালনা করতে অভ্যস্ত, ‘সে পাখির ওপর দিয়ে যেতে পারে এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সে তার প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে পারবে।’ এপি।