ফরিদপুরের সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার বিকালে অফিসার ইনচার্জ এর নিজ অফিস কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত বিভিন্ন অনলাইন ও বিভিন্ন পত্রিকায় “চাঁদা না পেয়ে ঘুমন্ত জিহাদকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে” শিরোনামে যে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন প্রকৃত ঘটনা হলো এই যে, এলাকার দলপক্ষ নিয়ে সালথা থানা এলাকার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে মুরাদ মেম্বার এর দল ও তার প্রতিপক্ষ হাচান মাতুব্বর এই দুদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুনঃ সলাথা থানার ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। পুনরায় খবর আসে রাতে তারা উভয় দলই পুনরায় সংঘর্ষ বাধাতে অস্ত্রসস্রে সজ্জিত হচ্ছে এমন খবের রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুরাদ মেম্বারের ভাই জিহাদসহ আরো কয়কজন কে দেশীয় অস্ত্র সহ আটক করে ঘটনাস্থল থেকে। পরে ওই রাতেই মুরাদ মেম্বার ও গট্টি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু থানায় আসে মুরাদ এর ভাই জিহাদকে ছাড়াতে। আমি তাকে ছাড়তে নারাজ হই। এতেই মুরাদ মেম্বার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। জিহাদ কে গ্রেফতার করে থানা গারদে রাখা হয়। তাকে কোন মারধর করা হয়নি। পরের দিন তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরন করেন।
জিহাদ জামিনে মুক্তি পেয়ে তার ভাই মুরাদ কে নিয়ে যে মানববন্ধন করেছে তা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাছাড়া মুরাদ মেম্বার একজন গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দানকারী বিভিন্ন অনৈতিক সুপারিস নিয়ে আসতো থানায়। তার এই অনৈতিক সুপারিস না রাখার কারনে এমনটি করছে তিনি। এব্যাপারে মুরাদ মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান,
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সালথা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুর রহমান ( আজিজ), ক্লাবের সহসভাপতি এমকিউ হোসাইন বুলবুল, মনির মোল্লা, সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক নাছির হুসাইন, নুরুল ইসলাম নাহিদ,মজিবুর রহমান, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, বিধান মন্ডল, আকাশ সাহা,শরিফুল হাসান প্রমূখ।
প্রিন্ট