ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জিকে সেচ পাম্প চালু হলে ও,কৃষক পর্যায়ে পানি পৌছায়নি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্পের ৩টি পাম্প মেশিনের মধ্যে ১টি চালু করা হয়েছে। বাকী ২টি অকেজ। দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা ১টি পাম্প মেশিন সচল কওে পানি ছারলে ও গত দুই দিনে কৃষক পর্যায় পানি এখন পর্যন্ত পৌছায়নি। পানির ধীর গতি থাকায় আরো ২দিন সময় লাগবে  জমিতে পানি পৌছায়তে ।

১৮জানুয়ারী মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পাম্প মেশিন সুইচ টিপে রবি মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম।

এর আগে পাম্প হাউজের ৩ নং পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা। অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, বিদেশী প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৭ কোটি টাকা চেয়েছেন সেখানে আমরা তা ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় মেরামত করে দিয়েছি। একই সঙ্গে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ব্যবস্থাও এতে সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকায় থেকেও সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে তা জানতে পারবেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

জিকে পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, হাউজের তিনটি পাম্পের মধ্যে গত ১৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার চালু করা হয়েছে। আর ১ নম্বরটির কিছু ত্রুটি রয়েছে, সেটি মেরামত করে দু-একদিনের মধ্যেই সচল করা যাবে। অন্যটি অর্থাৎ ২ নম্বরটির মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে। একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ ঘনফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরো দুদিন সময় লাগবে।

প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন,  এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে। এতে বোরো ধান উৎপাদন বাড়বে।

অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সিইও মো. নাজমুল হাসান মেহেদী বলেন, সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জিকে সেচ প্রকল্পকে ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ ও ১৯৭৩ সালে পুনর্গঠন করেন। তাই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এ মাহেন্দ্রক্ষণে বিদেশীদের স্থলাভিষিক্ত করে ৩ নম্বর প্রধান পাম্পটি পুনরুজ্জীবিত করতে পেরে আমরা দেশীয় প্রকৌশলী হিসেবে অনেক আনন্দিত ও গর্বিত।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

error: Content is protected !!

জিকে সেচ পাম্প চালু হলে ও,কৃষক পর্যায়ে পানি পৌছায়নি

আপডেট টাইম : ০৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্পের ৩টি পাম্প মেশিনের মধ্যে ১টি চালু করা হয়েছে। বাকী ২টি অকেজ। দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা ১টি পাম্প মেশিন সচল কওে পানি ছারলে ও গত দুই দিনে কৃষক পর্যায় পানি এখন পর্যন্ত পৌছায়নি। পানির ধীর গতি থাকায় আরো ২দিন সময় লাগবে  জমিতে পানি পৌছায়তে ।

১৮জানুয়ারী মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পাম্প মেশিন সুইচ টিপে রবি মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম।

এর আগে পাম্প হাউজের ৩ নং পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা। অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, বিদেশী প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৭ কোটি টাকা চেয়েছেন সেখানে আমরা তা ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় মেরামত করে দিয়েছি। একই সঙ্গে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ব্যবস্থাও এতে সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকায় থেকেও সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে তা জানতে পারবেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

জিকে পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, হাউজের তিনটি পাম্পের মধ্যে গত ১৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার চালু করা হয়েছে। আর ১ নম্বরটির কিছু ত্রুটি রয়েছে, সেটি মেরামত করে দু-একদিনের মধ্যেই সচল করা যাবে। অন্যটি অর্থাৎ ২ নম্বরটির মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে। একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ ঘনফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরো দুদিন সময় লাগবে।

প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন,  এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে। এতে বোরো ধান উৎপাদন বাড়বে।

অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সিইও মো. নাজমুল হাসান মেহেদী বলেন, সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জিকে সেচ প্রকল্পকে ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ ও ১৯৭৩ সালে পুনর্গঠন করেন। তাই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এ মাহেন্দ্রক্ষণে বিদেশীদের স্থলাভিষিক্ত করে ৩ নম্বর প্রধান পাম্পটি পুনরুজ্জীবিত করতে পেরে আমরা দেশীয় প্রকৌশলী হিসেবে অনেক আনন্দিত ও গর্বিত।