ফরিদপুরের সালথায় খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর চাল কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিক্রয়কৃত ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছেন সালথা থানা পুলিশ। ১৫ নভেম্বর সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার গৌড়দিয়া বাজারের দোকান থেকে এ চাল উদ্ধার করে। এ সময় দোকানদার পারভেজ কে আটক করে পুলিশ।
এসময় পারভেজ জানায়, উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি বাজারের ডিলার আঃ আলিম মোল্যার নিকট থেকে এই চাল ক্রয় করিয়াছি। দোকানে উপস্থিত পারভেজের ছেলে ছাব্বির বলেন, আলীম মোল্লা প্রথমে চালের কিছু সেম্পুল নিয়ে আমাদের দোকানে আসে যে সে এই ধরনের চাল বিক্রি করবে। ৩৫ টাকা কেজি ৫০ কেজির ৩০ বস্তা চাল পাঠাবে বলে টাকা নিয়ে যায়। পরে রাত ৮ টার দিকে চাল পাঠায়। আমার বাবা গোডাউনে চাল রেখে দেয়। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ এসে গোডাউন খুলতে বললে বাবা গোডাউন খুলে দেয়। পুলিশ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায় ও ৩০ বস্তা চালও নিয়ে যায়।অভিযুক্ত আঃ আলিম মোল্যা পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে তার নাতী শাকিল মোল্যা বলেন, উদ্ধারকৃত চাল আমাদের না, ওটা যারা আমাদের থেকে ক্রয় করেছে তাদের থেকে হয়তো দোকানদার ক্রয় করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, নকুলহাটি বাজারের ডিলার আঃ আলিম মোল্যা কিছু চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে, এমন অভিযোগে পুলিশ নিয়ে নগৌড়দিয়া বাজারে একটি দোকান থেকে ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছি। তদন্ত করা হচ্ছে এটা খাদ্যবান্ধব চাল কিনা। প্রমান হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালসহ ১ দোকানদার কে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতেই আমি জেনেছি, এই ব্যাপারে আমরা তৎপর আছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট