ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন Logo মুকসুদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়া আটক Logo “এখনো গুলির শব্দ কানে বাজে” – শাহদৌলা সরকারি কলেজ কর্তৃক স্মরণ সভায় গুলি বিদ্ধ রনি আহমেদ Logo লালপুরে রেললাইনে ফাটল, ট্রেন চলাচলে ধীরগতি Logo লালপুরে পদ্মা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান Logo আমতলীতে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ Logo বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা, উদ্ধারের পর ইউএনওের তৎপরতা Logo দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহর: মধ্যরাতে ইবিতে বিক্ষোভ Logo ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ঘোষণা, ১৪৪ ধারা জারি Logo ৪ মাসে ৩ শতাধিক আন্দোলন, দাবি আদায়ে এ কী কৌশল!
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ” এই স্লোগান বাস্তবায়নের লক্ষে সরকার খাদ্য অধিদপ্তর কতৃক পরিচালিত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সরকারের নির্বাচনী এস্থেহার বাস্তবায়নের লক্ষে ১০ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে ডিলারের মাধ্যমে।

প্রতিজন ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে তিনশত টাকায়। এই ধারাবাহিকতায় গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে রুমা বেগম নামের এক ব্যক্তি ৫৫৪ টি কার্ডের বিপরিতে ডিলার নিয়োগ পান। তিনি ওই বাজারে প্রতিমাসে এই কর্মসূচির চাল বিক্রি করেন।

সপ্তাহের রবিবার ,সোমবার, মঙ্গলবার এই তিনদিন নিজ দোকানে চাল বিক্রি করবে, এবং ওই ডিলারের সংস্লিস্ট মনিটরিং কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন যা নিয়মে বলা। এবং প্রতিমাসে এক বার করে চাল পাবে কার্ডধারীরা। এই (নভেম্বর) মাসের সোমবার ৫৫৪ টি কার্ডের চাল বিতরণ করছিলেন রসুলপুর বাজারের এই ডিলার রুমা বেগম। সেখানে পৌছাতেই কপালে চোখ উঠে যাওয়ার মতো অবস্থা রুমা বগমের।

তিনি ৩০ কেজি চালের জায়গায় ২৯ কেজি চাল বিতরণ করছে মাঝে মধ্যে দুএকজনের আরো কম হচ্ছে ওজনে। ওই ডিলারের ২৬ নং কার্ডধারী ক্রেতা শুকুর মাতুব্বর চাল নিয়ে আসার পর রসুলপুর বাজারের মধ্যে তার মাথা থেকে বস্তা নামিয়ে অন্য দোকানে নিয়ে ওজন করা হলে সেখানে ২৯ কেজি চাল পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, আমরা তিনশত টাকা দেই তাতে ওনারা আমাদের যা চাল দেন তাই নিয়ে যাই বেশি কথা বললে যদি কার্ড বাতিল করে দেয়, সেই ভয়ে আমরা কিছু বলি না। প্রতিমাসে ২৭ থেকে ২৮ কেজি চাল পাই এবার আপনারা এসছেন তাই হয়তো ২৯ কেজি পেয়েছি। ১৫৫ নং কার্ড ধারী ক্রেতা হাবিবুর রহমান তিনিও ২৯ কেজি চাল পেয়েছেন, অপরদিকে ৫৪ নং কার্ডধারী কামাল তিনি ২৯ কেজি পেয়েও খুশি। এরকম অনেক কার্ডধারী চাল কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে রসুলপুর বাজারের এই ডিলার রুমা বেগম বলেন, আমরা বরাবরই ২৯ কেজি দিয়ে আসতেছি কারন লোড-আনলোডের সময় চাল ঝরে যায় ৩০ কেজি দিতে গেলে আমাদের পোষায় না। তাই আমরা ২৯ কেজি ও তার বেশিও দেই। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালে কম দেওয়া হচ্ছে এমন খবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আক্তারের কানে পৌছালে তিনি তাৎক্ষনিক উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে ঘটনাস্থলে পাঠায়।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ঈসমাইল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে চাল দেওয়া বন্ধ রাখেন। এবং সংস্লিস্ট ডিলারের মনিটরিং কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) কে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

error: Content is protected !!

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ” এই স্লোগান বাস্তবায়নের লক্ষে সরকার খাদ্য অধিদপ্তর কতৃক পরিচালিত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সরকারের নির্বাচনী এস্থেহার বাস্তবায়নের লক্ষে ১০ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে ডিলারের মাধ্যমে।

প্রতিজন ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে তিনশত টাকায়। এই ধারাবাহিকতায় গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে রুমা বেগম নামের এক ব্যক্তি ৫৫৪ টি কার্ডের বিপরিতে ডিলার নিয়োগ পান। তিনি ওই বাজারে প্রতিমাসে এই কর্মসূচির চাল বিক্রি করেন।

সপ্তাহের রবিবার ,সোমবার, মঙ্গলবার এই তিনদিন নিজ দোকানে চাল বিক্রি করবে, এবং ওই ডিলারের সংস্লিস্ট মনিটরিং কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন যা নিয়মে বলা। এবং প্রতিমাসে এক বার করে চাল পাবে কার্ডধারীরা। এই (নভেম্বর) মাসের সোমবার ৫৫৪ টি কার্ডের চাল বিতরণ করছিলেন রসুলপুর বাজারের এই ডিলার রুমা বেগম। সেখানে পৌছাতেই কপালে চোখ উঠে যাওয়ার মতো অবস্থা রুমা বগমের।

তিনি ৩০ কেজি চালের জায়গায় ২৯ কেজি চাল বিতরণ করছে মাঝে মধ্যে দুএকজনের আরো কম হচ্ছে ওজনে। ওই ডিলারের ২৬ নং কার্ডধারী ক্রেতা শুকুর মাতুব্বর চাল নিয়ে আসার পর রসুলপুর বাজারের মধ্যে তার মাথা থেকে বস্তা নামিয়ে অন্য দোকানে নিয়ে ওজন করা হলে সেখানে ২৯ কেজি চাল পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, আমরা তিনশত টাকা দেই তাতে ওনারা আমাদের যা চাল দেন তাই নিয়ে যাই বেশি কথা বললে যদি কার্ড বাতিল করে দেয়, সেই ভয়ে আমরা কিছু বলি না। প্রতিমাসে ২৭ থেকে ২৮ কেজি চাল পাই এবার আপনারা এসছেন তাই হয়তো ২৯ কেজি পেয়েছি। ১৫৫ নং কার্ড ধারী ক্রেতা হাবিবুর রহমান তিনিও ২৯ কেজি চাল পেয়েছেন, অপরদিকে ৫৪ নং কার্ডধারী কামাল তিনি ২৯ কেজি পেয়েও খুশি। এরকম অনেক কার্ডধারী চাল কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে রসুলপুর বাজারের এই ডিলার রুমা বেগম বলেন, আমরা বরাবরই ২৯ কেজি দিয়ে আসতেছি কারন লোড-আনলোডের সময় চাল ঝরে যায় ৩০ কেজি দিতে গেলে আমাদের পোষায় না। তাই আমরা ২৯ কেজি ও তার বেশিও দেই। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালে কম দেওয়া হচ্ছে এমন খবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আক্তারের কানে পৌছালে তিনি তাৎক্ষনিক উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে ঘটনাস্থলে পাঠায়।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ঈসমাইল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে চাল দেওয়া বন্ধ রাখেন। এবং সংস্লিস্ট ডিলারের মনিটরিং কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) কে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রিন্ট