আজ রবিবার ১৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা শুরু। কিন্তু পরীক্ষায় বসা হলো না ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণুদী গ্রামের আবুল কালাম মাতুব্বরের ছেলে আছাদ মাতুব্বর (২২)এর। গতকাল দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
তবে তার মৃত্যুর কারন নিয়ে রয়েছে নানান কথা।
পরিবারের দাবি স্ট্রোকজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশিরা বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এবারের এক সাবজেক্ট এর এসএসসি পরীক্ষার্থী আছাদ মাতুব্বর (২২) গত ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দ্বীতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিষ্ণুদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতিকের প্রার্ত্থী নুরুল ইসলামের এজেন্ট ছিলো।
নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করছিলেন আনারস প্রতীক নিয়ে খন্দকার শাহিন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্ত্থী নুরুল ইসলাম ২২ ভোটে হেরে যায় আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা খন্দকার শাহিন এর কাছে।
নির্বাচনে জিতে আনারস প্রতিকের সমর্থকেরা পরের দিন শুক্রবার আনন্দ উল্লাস করছিলেন বিষ্ণুদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি হওয়ায় ওই উল্লাসে বাধা দেয় আসাদ। এসময় তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং আসাদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিজয়ী আনারস প্রতিকের সমর্থকেরা।
এঘটনায় রাগে ক্ষোভে শনিবার সকালে আছাদ বিষ পান করে সকালে মাঠে যায় ধান আনতে। মাঠ থেকে ধানের বোঝা এনে বাড়ির উঠানে ফেলার পরপরই সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে নগরকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ফরিদপুরে নেওয়ার পথে শসা গ্রামের ব্রীজের নিকট গেলে তার মৃত্যু হয়।
আছাদের এই মৃত্যু নিয়ে নানান কথার কারনে পুলিশ তার লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে । স্থানীয় অনেকেই বলছে, লাশ কাটাছেড়া না করানোর জন্য পরিবার অন্য কথা বলছে। তারা পুলিশ কে অনুরোধ করছিলো যেন লাশ থানায় না নিয়ে হয়।
প্রিন্ট