কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে মুন্নাফ আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের মনোহারপুর এলাকায় রেললাইনের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের উত্তর কয়া গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার জানায়, মুন্নাফ প্রায় ৩৫ বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিল। মাঝেমধ্যে তিনি বাস, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবহনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করা চেষ্টা করতেন। আজ আনুমানিক সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজবাড়ী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা টুঙ্গীপাড়া ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের ভাতিজি শাহিন বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মারা গেছে। এমন খবর শুনে এসে দেখি আমার চাচা। তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে।
নিহতের চাচাতো ভাই মোশারফ বলনে, মুন্নাফ পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন। মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতেন। আজ ট্রেনে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে মনে হচ্ছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে। নিহত ব্যক্তি মানসিক রোগী ছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করার জন্য তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রিন্ট