পাবনার চাটমোহরে স্কুলশিক্ষক ছেলের হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন এক পিতা। পিতাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারাসহ মারপিট করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় উঠেছে চারিদিকে।
গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের মহেলা বাজারেঘটনাটি ঘটেছে।
এ ব্যাপারে পিতা হাজী মোঃ আতাউর রহমান (৭৫) চাটমোহর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ রাতে স্কুলশিক্ষক ছেলে মোঃ মজনুর রহমান (৪৫) কে আটক করেছে। বুধবার দুপুরে আটক স্কুলশিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পিতার কাছ থেকে জমি লিখে নিতে না পেরে চাটমোহর সরকারি আরসিএন এন্ড বিএসএন মডেল পাইলট হাইস্কুলের ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মোঃ মজনুর রহমান মঙ্গলবার সকালে তার পিতা হাজী মোঃ আতাউর রহমানের কর্মস্থল মহেলা বাজার ডাকঘরে ঢুকে পিতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও কিল ঘুষি মারা শুরু করেন। একপর্যায়ে অফিসের কাগজপত্র তছনছ করে ডাকঘরের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন।
এক সময় মোবাইল ফোন নিয়ে ওই শিক্ষক মোটরসাইকেলে উঠতে চাইলে তার পিতা হাজী আতাউর রহমান বাধা দেন। তখনই পিতাকে লাথি মারেন শিক্ষক নামধারী মজনুর রহমান। এছাড়াও প্রকাশ্যে পিতার সাথে ধাক্কাধাক্কি ও দস্তাদস্তি করেন।
আশপাশের লোকজন এসে শিক্ষক মজনুকে করে উত্তম মাধ্যম দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
অসহায় পিতা চাটমোহর থানায় আসেন এবং লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে থানায় মামলা হয়। পুলিশ শিক্ষক ছেলেকে আটক করে। আতাউর রহমানকে চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর সরকারি আরসিএন এন্ড বিএসএন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ ছালাম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।
চাটমোহর থানার ওসি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পিতাকে মারপিট করেছে মজনুর রহমান। থানায় মামলা হয়েছে। আটক ছেলেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট