এলাকাবাসী বলেন, যদুবয়রা সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা জয়বাংলা বাজার ও ছাতিয়ান বাজার। প্রধান রাস্তা দুইটি বাজারকেন্দ্রিক ও দূরবর্তী হওয়ায় ছাত্রদের জন্য তেমন অসুবিধা না হলেও স্কুলে যেতে ছাত্রীদের নানা সমস্যা ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়াও ইউনিয়ন ভূমি অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পুলিশ ক্যাম্প, যদুবয়রা পশুহাটে চলাচলের শর্টকাট রাস্তাও এটি।
যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মিনা খাতুন বলেন, জিকে ক্যানালের এপারে (পশ্চিম পাশে) আমার বাড়ি। এই বাঁশের সেতু পার হয়েই স্কুলে যেতে হয়। কিন্তু প্রতি বছরে কয়েকবার এটি ভেঙে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ওই স্কুলের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মারিয়া খাতুন বলেন, প্রতি বছরই সেতু ভেঙে শিক্ষার্থীদের পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ হওয়া দরকার।
কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, জিকে ক্যানালের ওপর একটি পাকা স্থায়ী সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে শত শত শিক্ষার্থী ও কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। এখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসীর উপকার হয়।
যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সী বজলুর রহমান বলেন, যদুবয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৫৭০ জন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৯৫০ জন। বাঁশের সেতুটি ভেঙে গেলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কমে যায়।
যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শরিফুল আলম বলেন, ইতিমধ্যে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজগুলো খুব শিগগিরই করা হবে।
প্রিন্ট