উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এসব ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ইউনিয়নগুলোর চরাঞ্চলের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তারা উচু জায়গা ও বাধে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘটের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ এলাকায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বাড়েনি। অপরদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় রান্না করে খাবার অবস্থা নেই। সেখানে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধপানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানিরচর ও গিদারি ইউনিয়নে ৩০০ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল এবং ১০০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিকটন চাল ও ৩ লাখ টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবার বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।
প্রিন্ট