ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সালথায় স্কুলের টিউবওয়েলের পানি খেয়েই ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ Logo গোমস্তাপুরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo লন্ডন মেয়র সাদিক খানের নতুন সহায়তার প্যাকেজ পরিকল্পনা ঘোষণা Logo রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় Logo তীব্র তাপদাহে মধুখালীতে ৭ শতাধিক মানুষকে ঠান্ডা শরবত পান করালো “স্বপ্নের শহর মধুখালী” Logo শ্বাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ফরিদপুর সদর উপজেলা আসন্ন নির্বাচনে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা Logo নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবক অনুপ পাইন এর মৃত্যু Logo শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্যর প্রতি আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর Logo কালুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রথম নবজাতকের ঘরে ফেরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

২৫ বছরে পদাপর্ণ করল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা ২৫ বছরে পদার্পন করল। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্বোধনের ২৪ বছর পূর্ণ হয় গতকাল ১ সেপ্টেম্বর বুধবার। ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্থলবন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সে থেকেই এ স্থলবন্দর দিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের যাত্রা। প্রথমদিকে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি রফতানি শুরু হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের ভারতের (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি এবং বাংলাদেশের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী যৌথভাবে ঘোষণা দেন। এর পরই বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয় ভূটানের সাথেও।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট এর সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, শুরু থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল ও ভূটারের সাথে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে এ বন্দর চালু করা হয়।

ইতিমধ্যে এই বন্দরের কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে রেল পথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন করার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এই রেল লাইন বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়ে যাবে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মবিন-উল-ইসলাম জানান, স্থলবন্দরটি করোনাকালীন সময় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৩ কোটি টাকা।

আমরা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছি ৬১ কোটি টাকা। এসময় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩%। তিনি আরো জানান, স্থলবন্দরের কর্মকতার্-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দিগুন রাজস্ব আদায়ের সম্ভব হয়েছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সালথায় স্কুলের টিউবওয়েলের পানি খেয়েই ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ

error: Content is protected !!

২৫ বছরে পদাপর্ণ করল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা ২৫ বছরে পদার্পন করল। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্বোধনের ২৪ বছর পূর্ণ হয় গতকাল ১ সেপ্টেম্বর বুধবার। ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্থলবন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সে থেকেই এ স্থলবন্দর দিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের যাত্রা। প্রথমদিকে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি রফতানি শুরু হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের ভারতের (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি এবং বাংলাদেশের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী যৌথভাবে ঘোষণা দেন। এর পরই বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয় ভূটানের সাথেও।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট এর সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, শুরু থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল ও ভূটারের সাথে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে এ বন্দর চালু করা হয়।

ইতিমধ্যে এই বন্দরের কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে রেল পথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন করার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এই রেল লাইন বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়ে যাবে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মবিন-উল-ইসলাম জানান, স্থলবন্দরটি করোনাকালীন সময় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৩ কোটি টাকা।

আমরা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছি ৬১ কোটি টাকা। এসময় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩%। তিনি আরো জানান, স্থলবন্দরের কর্মকতার্-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দিগুন রাজস্ব আদায়ের সম্ভব হয়েছে।