ঢাকা , সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আড়ানী পৌরসভার রুস্তমপুর হাট ও বাজার পুনঃ ইজারা প্রদান Logo মাগুরায় দাফনের ১২০ দিন পর ছাত্রদলের নেতা রাব্বির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন Logo মাগুরাতে ধলহারা চাঁদপুর বাজারের সাথে সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কাটার অভিযোগ Logo লালপুরে প্রকল্পের অর্থ লোপাট, গরীবের নলকূপ বিত্তবানদের বাড়িতে Logo নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ Logo সরকারি অর্থায়নের রাস্তায় চলাচলে বাঁধা, গৃহবন্দী ২০ পরিবার Logo মধুখালীতে ইয়াবাসহ আমিন খন্দকার গ্রেপ্তার Logo বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নামঃ জানুয়ারিতে উদ্বোধন ও বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু Logo ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজী‌বি হত্যার বিচারের দাবিতে আলফাডাঙ্গায় বিক্ষোভ Logo রাজশাহীতে ঘুষকাণ্ডে সাসপেন্ড হিটলারঃ মামলা করে আপোস করেন নিজেই!
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

এক ঘণ্টাও বাঁচবে না জেনে সন্তানের জন্ম দিলেন মা

গর্ভাবস্থার ১৮ সপ্তাহে জেনেছিলেন দুঃসংবাদ। যে সন্তানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জন্মের পরে এক ঘণ্টাও বাঁচবে না সে। টেনেসির ক্রিস্টা ডেভিস ও তার প্রেমিক ডেরেক লভেটকে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত ক্রিস্টার গর্ভের সন্তান। এ কারণে তার মস্তিষ্ক ও করোটির কিছুটা অংশ তৈরি হবে না কখনওই।

তাদের সামনে দু’টি পথ খোলা ছিল। সময়ের আগেই শিশুটিকে বের করে আনা। নয়তো, শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা। দ্বিতীয় পথটাই বেছে নিলেন বাবা-মা। সাথে এটাও সিদ্ধান্ত নিলেন যে, জন্মের পরে শিশুটির অঙ্গদান করে দেবেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ক্রিস্টা বলেন, চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন নাড়ি কাটার পরে ও এক ঘণ্টাও বাঁচবে না। আমরা ঠিক করি, যদি মেয়েকে বাড়ি না নিয়ে যেতে পারি তবুও ওকে পৃথিবীতে আনবই। মা হিসেবে খুব কঠিন ছিল সেই সিদ্ধান্ত।

শিশুটি বাঁচবে না এই ধারণা নিয়ে নাড়ি কাটার আগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সব আশঙ্কা উড়িয়ে, বাবা-মাকে অবাক করে জন্মের পরে একাই শ্বাস নিতে থাকে সে। তাকে আলাদা করে রাখতে হয়নি বরং জন্মের পর সাতদিন সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিল।

জন্মের পরে এই ধরনের শিশুর বাঁচার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। ফলে অঙ্গদানের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুখ উপরের দিকে করে জন্মানোয় বেঁচে যায় রায়েলি। বাকি শিশুদের মতো মুখ নিচের দিকে থাকলে আশা ছিল না। তবে জন্মের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই নতুন বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় রায়েলি। তার হৃৎপিন্ডের দু’টি ভাল্ব অন্য দুই শিশুকে দেওয়া হয়েছে আর ফুসফুস গবেষণার জন্য দান করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আড়ানী পৌরসভার রুস্তমপুর হাট ও বাজার পুনঃ ইজারা প্রদান

error: Content is protected !!

এক ঘণ্টাও বাঁচবে না জেনে সন্তানের জন্ম দিলেন মা

আপডেট টাইম : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক : :

গর্ভাবস্থার ১৮ সপ্তাহে জেনেছিলেন দুঃসংবাদ। যে সন্তানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জন্মের পরে এক ঘণ্টাও বাঁচবে না সে। টেনেসির ক্রিস্টা ডেভিস ও তার প্রেমিক ডেরেক লভেটকে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত ক্রিস্টার গর্ভের সন্তান। এ কারণে তার মস্তিষ্ক ও করোটির কিছুটা অংশ তৈরি হবে না কখনওই।

তাদের সামনে দু’টি পথ খোলা ছিল। সময়ের আগেই শিশুটিকে বের করে আনা। নয়তো, শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা। দ্বিতীয় পথটাই বেছে নিলেন বাবা-মা। সাথে এটাও সিদ্ধান্ত নিলেন যে, জন্মের পরে শিশুটির অঙ্গদান করে দেবেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ক্রিস্টা বলেন, চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন নাড়ি কাটার পরে ও এক ঘণ্টাও বাঁচবে না। আমরা ঠিক করি, যদি মেয়েকে বাড়ি না নিয়ে যেতে পারি তবুও ওকে পৃথিবীতে আনবই। মা হিসেবে খুব কঠিন ছিল সেই সিদ্ধান্ত।

শিশুটি বাঁচবে না এই ধারণা নিয়ে নাড়ি কাটার আগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সব আশঙ্কা উড়িয়ে, বাবা-মাকে অবাক করে জন্মের পরে একাই শ্বাস নিতে থাকে সে। তাকে আলাদা করে রাখতে হয়নি বরং জন্মের পর সাতদিন সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিল।

জন্মের পরে এই ধরনের শিশুর বাঁচার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। ফলে অঙ্গদানের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুখ উপরের দিকে করে জন্মানোয় বেঁচে যায় রায়েলি। বাকি শিশুদের মতো মুখ নিচের দিকে থাকলে আশা ছিল না। তবে জন্মের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই নতুন বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় রায়েলি। তার হৃৎপিন্ডের দু’টি ভাল্ব অন্য দুই শিশুকে দেওয়া হয়েছে আর ফুসফুস গবেষণার জন্য দান করা হয়েছে।


প্রিন্ট