গর্ভাবস্থার ১৮ সপ্তাহে জেনেছিলেন দুঃসংবাদ। যে সন্তানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জন্মের পরে এক ঘণ্টাও বাঁচবে না সে। টেনেসির ক্রিস্টা ডেভিস ও তার প্রেমিক ডেরেক লভেটকে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত ক্রিস্টার গর্ভের সন্তান। এ কারণে তার মস্তিষ্ক ও করোটির কিছুটা অংশ তৈরি হবে না কখনওই।
তাদের সামনে দু’টি পথ খোলা ছিল। সময়ের আগেই শিশুটিকে বের করে আনা। নয়তো, শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা। দ্বিতীয় পথটাই বেছে নিলেন বাবা-মা। সাথে এটাও সিদ্ধান্ত নিলেন যে, জন্মের পরে শিশুটির অঙ্গদান করে দেবেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ক্রিস্টা বলেন, চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন নাড়ি কাটার পরে ও এক ঘণ্টাও বাঁচবে না। আমরা ঠিক করি, যদি মেয়েকে বাড়ি না নিয়ে যেতে পারি তবুও ওকে পৃথিবীতে আনবই। মা হিসেবে খুব কঠিন ছিল সেই সিদ্ধান্ত।
শিশুটি বাঁচবে না এই ধারণা নিয়ে নাড়ি কাটার আগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সব আশঙ্কা উড়িয়ে, বাবা-মাকে অবাক করে জন্মের পরে একাই শ্বাস নিতে থাকে সে। তাকে আলাদা করে রাখতে হয়নি বরং জন্মের পর সাতদিন সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিল।
জন্মের পরে এই ধরনের শিশুর বাঁচার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। ফলে অঙ্গদানের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুখ উপরের দিকে করে জন্মানোয় বেঁচে যায় রায়েলি। বাকি শিশুদের মতো মুখ নিচের দিকে থাকলে আশা ছিল না। তবে জন্মের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই নতুন বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় রায়েলি। তার হৃৎপিন্ডের দু’টি ভাল্ব অন্য দুই শিশুকে দেওয়া হয়েছে আর ফুসফুস গবেষণার জন্য দান করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha