চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে শনিবার রাতে রবিউল ইসলাম রবু (৪২) নামের এক যুবককে আটক করেছে গোমস্তাপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, পার্শেবর্তী রবিউল ইসলামের সাথে গোপনে ওই গৃহবধূর শাশুড়ি রেহেনা বেগমের (৪০) মন নেয়া দেয়া চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে।
দু’জনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে রেহানার ছেলে হৃদয়ের সাথে ওই গৃহবধূর বিয়ে দেয় রবিউল ইসলাম।
জীবন জীবীকার তাগীদে গৃহবধূর স্বামী হৃদয় কাজের জন্য চট্টগ্রাম চলে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে লম্পট রবিউল ইসলাম রোবু নজর পড়ে গৃহবধূর ওপর। গত রোজার সময় খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে গৃহবধূকে অচেতন করে রবিউল ইসলাম রোবু তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করে রবিউল ইসলাম রোবুর প্রেমিক গৃহবধুর শাশুড়ি রেহেনা বেগম।
বিষয়টি গৃহবধু টের পেয়ে গেলে তার শাশুড়ির কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চায়। কিন্তু শাশুড়ী বিষয়টির কোনো সূরাহা না করে বরং কাউকে বিষয়টি না বলার জন্য গৃহবধূকে হুমকি ধামকি দেয় রবিউল ইসলাম রোবু তার শ্বাশুড়ী।
একপর্যায়ে গৃহবধু তার স্বামীকে বিষয়টি জানায়। তাতেও কোনো নূরাহা না হওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ১৬মে তার স্বামীর উদ্দেশ্যে একটি চিরকুট লিখে গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে যায়। দীর্ঘদিন বাবার বাড়িতে থাকার ফলে মায়ের মনে সন্দেহ হওয়ায় মেয়েকে চাপের সৃষ্টি করলে বিষয়টি তার বাবা-মাকে খুলে বল। ঘটনাটি এককান দু’কান হয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে কে বা কারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে রবিউল ইসলাম রোবুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে ১৪ আগস্ট শনিবার রাতে গোমস্তাপুর থানায় গিয়ে গৃহবধূ রবিউল ইসলাম রোবু ও শাশুড়ি রেহানাকে আসামি করে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত রবিউল ইসলাম রোবু রহনপুর পৌর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক বলে জানা গেছে।
গোমস্তাপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে গোমস্তাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রিন্ট