গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদক সেবিদের মারপিটে মেজবাউল করিম (৫৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত মেজবাউল দরবস্ত ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের গেন্দেলা শেখের ছেলে । ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও গোবিন্দগঞ্জ থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দরবস্ত ইউনিয়নের কোমরপুর কানিপাড়া গ্রামের কৃষক মেজবাউল করিমের ছেলে মোমিনুল(২৫) শ্বশুর বাড়ী থেকে পাঁয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দরবস্ত মধ্যপাড়া গ্রামের কথিত দরবেশ আব্দুর রশিদের বাড়ীর সামনে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনকারীদের জটলা দেখে মোমিনুল মোবাইলের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে তাদের দিকে ধরে। এতে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনকারিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোমিনুলকে মারপিট করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লাবে আটকে রাখে।
এ খবর পেয়ে মোমিনুলের বড় ভাই ময়নুল ইসলাম (বাবু) এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে ক্লাবে আটক করে রাখে মাদক সেবিরা। দুই ছেলেকে ক্লাবে আটকে রেখে মারপিটের খবর পেয়ে বাবা মেজবাউল করিম তাদের উদ্ধারের জন্য ক্লাবের যায়। টর্চ লাইটে আলো জ্বালানো ভুল হয়েছে স্বীকার করে ক্লাবের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চায় মেজবাউল করিম।
এসময় গাঁজার আসরে থাকা একই গ্রামের শাহীনের ছেলে সৌমিক ওরফে সৌমি ও আল আমিনসহ মাদক সেবিরা এলোপাথারী ভাবে ব্যবসায়ী মেজবাউলকে মারপিট করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলমগীর কবির (রতন) মন্ডল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট