ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে দেশ কোল্ড স্টোরে ডাকাতি Logo মাধবপুরে বাসচাপায় কলেজ ছাত্র মোফাজ্জলের মৃত্যু Logo রংপুর মেডিকেল ক্যাম্পাসে নারীসহ অনৈতিক কাজে লিপ্ত যুব নেতা আটক, উত্তেজনা এলাকাজুড়ে Logo ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ২ বাংলাদেশি নারী Logo তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউপি যুবদলের আলোচনা সভা Logo ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী মনিরুজ্জামানের পথসভা Logo ‘৩৬ জুলাই’ আন্দোলনে শহীদদের সমবেদনায় বাঘায় আলোচনা সভা Logo মুকসুদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেড় লাখ টাকার চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস Logo পীরগঞ্জে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন Logo বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার

নাঈম ইসলামঃ

 

দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি তদন্তাধীন মামলায় ড. কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের রিকুইজিশনের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ বাসায় অভিযান চালায় এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।”

 

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। তার মেয়াদকালজুড়ে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছেন।

 

দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছিল এবং সম্প্রতি তা প্রমাণের পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর দুদক থেকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিকুইজিশন পাঠানো হয়।

 

ডিবি পুলিশ এর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিকভাবে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাকে আদালতে হাজির করা হবে এবং দুদক তার রিমান্ড চেয়ে আবেদন করতে পারে।

 

ড. কলিমউল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে এই গ্রেপ্তারকে “বিলম্বিত হলেও ন্যায়ের প্রতিফলন” হিসেবে দেখছেন। তারা দাবি করেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচারিক প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়।

 

এদিকে, দুদক ও ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় আরও কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তার নাম তদন্তের আওতায় রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে দেশ কোল্ড স্টোরে ডাকাতি

error: Content is protected !!

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ৭ ঘন্টা আগে
নাঈম ইসলাম, সদর উপজেলা (রংপুর) প্রতিনিধি :

নাঈম ইসলামঃ

 

দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি তদন্তাধীন মামলায় ড. কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের রিকুইজিশনের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ বাসায় অভিযান চালায় এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।”

 

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। তার মেয়াদকালজুড়ে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছেন।

 

দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছিল এবং সম্প্রতি তা প্রমাণের পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর দুদক থেকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিকুইজিশন পাঠানো হয়।

 

ডিবি পুলিশ এর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিকভাবে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাকে আদালতে হাজির করা হবে এবং দুদক তার রিমান্ড চেয়ে আবেদন করতে পারে।

 

ড. কলিমউল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে এই গ্রেপ্তারকে “বিলম্বিত হলেও ন্যায়ের প্রতিফলন” হিসেবে দেখছেন। তারা দাবি করেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচারিক প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়।

 

এদিকে, দুদক ও ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় আরও কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তার নাম তদন্তের আওতায় রয়েছে।


প্রিন্ট