ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নগরকান্দায় চোখে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

ফরিদপুরের নগরকান্দায় চোখে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রæ। বুধবার সকালে নগরকান্দা গ্রামে ঐ শিশুর বাড়ী যান তিনি। এ সময় শিশুটির খোজ খবর নেন এবং নগদ ১০ হাজার টাকা সহয়তা করেন। শিশুটি নগরকান্দা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ মান্নান শেখের পুত্র জামিল শেখ (১১)।

জামিলের মা আঙ্গুরী বেগম জানান, ছেলের জন্মের পর চোখের কোনায় অস্বাভাবিক কিছু একটা লক্ষ করছিলাম। বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগটাও দৃশ্যমান হতে থাকে। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারি নাই। তাছাড়া ৫ বছর আগে জামিলের বাবা আমাকে ছেড়ে আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছে। আমাদের কোন খবর তিনি রাখেন না। জামিল ৩য় শ্রেণীতে পড়তো। ওর চোখের রোগটা দেখে স্কুলের ছাত্ররা ভয় পায় বলে ওকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এসময় ইউএনওর সাথে ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসএম ফরহাদ হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বিপ্লব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির, সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, শিশুটিকে ভালো করে পরীক্ষা করে উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো ভালো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, অর্থের অভাবে ঐ শিশুকে ভালো চিকিৎসা করাতে পারেনি। তাই আমি ঐ শিশুটির পরিবারের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নগরকান্দায় চোখে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

আপডেট টাইম : ০৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টারঃ :

ফরিদপুরের নগরকান্দায় চোখে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রæ। বুধবার সকালে নগরকান্দা গ্রামে ঐ শিশুর বাড়ী যান তিনি। এ সময় শিশুটির খোজ খবর নেন এবং নগদ ১০ হাজার টাকা সহয়তা করেন। শিশুটি নগরকান্দা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ মান্নান শেখের পুত্র জামিল শেখ (১১)।

জামিলের মা আঙ্গুরী বেগম জানান, ছেলের জন্মের পর চোখের কোনায় অস্বাভাবিক কিছু একটা লক্ষ করছিলাম। বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগটাও দৃশ্যমান হতে থাকে। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারি নাই। তাছাড়া ৫ বছর আগে জামিলের বাবা আমাকে ছেড়ে আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছে। আমাদের কোন খবর তিনি রাখেন না। জামিল ৩য় শ্রেণীতে পড়তো। ওর চোখের রোগটা দেখে স্কুলের ছাত্ররা ভয় পায় বলে ওকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এসময় ইউএনওর সাথে ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসএম ফরহাদ হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বিপ্লব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির, সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, শিশুটিকে ভালো করে পরীক্ষা করে উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো ভালো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, অর্থের অভাবে ঐ শিশুকে ভালো চিকিৎসা করাতে পারেনি। তাই আমি ঐ শিশুটির পরিবারের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।


প্রিন্ট