মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ
অস্থায়ী কোন পুলিশ ক্যাম্প নয়, পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার লাখুড়িয়ায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প নির্মাণে নুতনহাট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জেলা পুলিশকে ১০ শতক জায়গা দানপত্র করেছেন দুই এলাকাবাসী। মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ জমিদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন-” একজন সাব ইন্সপেক্টরের অধীনে এএসআই – কনস্টেবলরা থাকবেন। যাবতীয় অভিযোগ গ্রহণ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা”।পূর্ব বর্ধমান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্লক হিসাবে রয়েছে মঙ্গলকোট। এই মঙ্গলকোট এক সময় উত্তপ্ত হয়েছিল নকশাল আন্দোলনে। আবার বিগত বাম জমানায় একের পর এক রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটে মঙ্গলকোটে।
.
পঞ্চায়েত সমিতির দুই প্রাক্তন সভাপতি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, সিপিএমের জোনাল নেতারা যেমন খুন হয়েছিলেন। ঠিক তেমনি বর্তমান সরকারের আমলে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি- গ্রাম প্রধান সহ দশের বেশি ব্যক্তি খুন হয়েছেন এই মঙ্গলকোটে।
.
রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াই অপেক্ষা অজয় নদের বালি লুটের বিষয়টি অধিকাংশ খুনের ঘটনার অন্তরালে মূল কারণ হিসাবে তদন্তে উঠে আসে। অজয় নদের বালি লুটের এলাকা হিসাবে পরিচিত পশ্চিম মঙ্গলকোটের বড় এলাকা। তাই মঙ্গলকোটের ১৫টি অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিম দিকের ৪টি অঞ্চল সবসময় চাপা উত্তেজনায় থাকে। আবার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কোন আন্দোলন ঘটলে তার রেশ পড়ে অনেকখানি।
.
এদিকে অজয় নদের ওপারে বীরভূমের নানুর- বোলপুর থানা এলাকা।সীমান্তবর্তী জেলা এলাকা হওয়ায় যেকোনো নির্বাচনে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। যা বিগত নির্বাচনের ইতিহাস থেকে জানা গেছে। মঙ্গলকোট থানা থেকে এসব এলাকার সর্বোচ্চ দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত শান্তি স্থাপনে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। এবার থেকে লাখুড়িয়ায় পুলিশ ক্যাম্প থেকে খুব সহজেই অজয় নদের উপকূলে থাকা এসব এলাকায় পুলিশ কর্মীরা পৌঁছে যাবেন। পুলিশ ক্যাম্প নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এলাকাবাসীরা জানান – ” ১৫/২০ কিমি দূরে নুতনহাটে অবস্থিত মঙ্গলকোট থানায় যেতে হত। এবার আমরা এক প্রকার ঘরের পাশেই পুলিশ ক্যাম্প পাচ্ছি।”
প্রিন্ট