ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ

মোঃ আমিন হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

ঝালকাঠির সরকারি নলছিটি ডিগ্রি  কলেজে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণের নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)  দুপুরে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  নজরুল ইসলাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নলছিটি ডিগ্রি কলেজটি ২০১৮ সালে জাতীয়করণ হয়। সেই হিসাবে কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম সরকারি বিধি- বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু কলেজে অফিস সহকারী  মাহফুজুর রহমান ও উত্তম কুমার মালো দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজের দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছে।

 

তাহারা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে দূর্বব্যবহার করে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে তাহারা রাগন্বিত হইয়া খারাপ ব্যবহার করে। তাছাড়া তারা  কলেজ থেকে প্রত্যয়নপত্র নেওয়া বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে  ৩০ টাকা করে নেন

 

।এছাড়া  পরীক্ষার প্রবেশপত্র বাবদ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা  নেন।টাকা নেওয়ার কোনো রশিদ দেয় না। এছাড়া  কলেজ থেকে সার্টিফিকেট, মার্কসীট ও প্রশংসাপত্র নিতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়।

 

কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র দেওয়ার জন্য আদায় করা হচ্ছে  টাকা আর টাকা ছাড়া কাউকেই প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে না।এছাড়া সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম সরকার পতনের পর পলাতক থাকায় বর্তমানে প্রভাসক নুরুজ্জামান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার চেয়ে অনেক সিনিয়র আছেন যাদের দায়িত্ব পাওয়ার কথা।তিনি সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুলের কথায় কলেজ পরিচালনা করছেন।

 

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান বলেন,প্রবেশপত্র বাবদ টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই কিন্তু কেন্দ্রে কিছু খরচ আছে এরজন্য নেওয়া হয়।অনেকে দেয় আবার অনেকেই দেয়না।

 

আরও পড়ুনঃ টাকা ছাড়াই পুলিশে চাকরি, আবেগাপ্লুত সবাই

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ৪ ঘন্টা আগে
মোঃ আমিন হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ আমিন হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

ঝালকাঠির সরকারি নলছিটি ডিগ্রি  কলেজে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণের নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)  দুপুরে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  নজরুল ইসলাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নলছিটি ডিগ্রি কলেজটি ২০১৮ সালে জাতীয়করণ হয়। সেই হিসাবে কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম সরকারি বিধি- বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু কলেজে অফিস সহকারী  মাহফুজুর রহমান ও উত্তম কুমার মালো দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজের দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছে।

 

তাহারা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে দূর্বব্যবহার করে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে তাহারা রাগন্বিত হইয়া খারাপ ব্যবহার করে। তাছাড়া তারা  কলেজ থেকে প্রত্যয়নপত্র নেওয়া বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে  ৩০ টাকা করে নেন

 

।এছাড়া  পরীক্ষার প্রবেশপত্র বাবদ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা  নেন।টাকা নেওয়ার কোনো রশিদ দেয় না। এছাড়া  কলেজ থেকে সার্টিফিকেট, মার্কসীট ও প্রশংসাপত্র নিতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়।

 

কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র দেওয়ার জন্য আদায় করা হচ্ছে  টাকা আর টাকা ছাড়া কাউকেই প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে না।এছাড়া সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম সরকার পতনের পর পলাতক থাকায় বর্তমানে প্রভাসক নুরুজ্জামান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার চেয়ে অনেক সিনিয়র আছেন যাদের দায়িত্ব পাওয়ার কথা।তিনি সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুলের কথায় কলেজ পরিচালনা করছেন।

 

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান বলেন,প্রবেশপত্র বাবদ টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই কিন্তু কেন্দ্রে কিছু খরচ আছে এরজন্য নেওয়া হয়।অনেকে দেয় আবার অনেকেই দেয়না।

 

আরও পড়ুনঃ টাকা ছাড়াই পুলিশে চাকরি, আবেগাপ্লুত সবাই

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


প্রিন্ট