ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান (বিপিএম) স্থানীয় জনসাধারণকে বলেন, ‘হত্যা এবং লুটপাটের সংগে যেসব দুষ্কৃতিকারী জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় তিনি স্থানীয় জনসাধারণকে এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
তিনি বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পরমেশ্বরদী গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর, বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম, বোয়ালমারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার ও সদস্যবৃন্দ।
সংঘর্ষে নিহত ও লুটপাটের ঘটনায় উভয়পক্ষের পৃথক দু’টি মামলায় থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত ০৭ জনকে আটক করেছে। মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে পরমেশ্বরদী গ্রামের ফকিরপাড়ার আ. রাজ্জাক ফকিরের ছেলে শহীদ ফকির (৪৭) নামের একব্যক্তি নিহত হন।
এ ঘটনার তিনদিন পর সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনসহ ২৯ জনকে আসামী করে নিহতের মামাতো ভাই আ. মান্নান শেখ বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।
অপরদিকে সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত শাহীন মাতুব্বরের স্ত্রী মালা চৌধুরী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা তিন শতাধিকসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।
প্রিন্ট