ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন Logo কুষ্টিয়ার সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo যশোরের মণিরামপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের সভাপতি হলেন লিটন মোড়ল Logo নাটোরের নলডাঙ্গায় পার্টনার কংগ্রেস সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo নরসিংদীতে কালী কুমার ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ Logo লোহারটেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আলিম আর নেই Logo লালপুরে স্কুলে টিফিনের ফাঁকে গাঁজা বিক্রিকালে মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo তানোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা Logo কালাইয়ে অটোভ্যানের সোকাব ভেঙ্গে চালক নিহত Logo টেকনোলজির উন্নয়ন ও সামাজিক অবক্ষয়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

লালপুরে হঠাৎ শিলা বৃষ্টি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ফসলের

রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ

 

হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ধান, পাট, তিল, সবজি ক্ষেত ও আম সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে, ২০২৫) বিকালে আধা ঘন্টার এ শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার বিলমাড়িয়া, আড়বাব, লালপুর ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে হেলে পড়েছে কয়েক শত হেক্টর জমির ধান। ভেঙে গেছে পাট গাছ। ঝরে পড়েছে বাগানের আম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটল, করলা, কুমড়া সহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা চাইলেন সরকারি সহায়তা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিলা বৃষ্টিতে ৫৪ হেক্টর বোরো ধান, ১৩৭ হেক্টর পাট, ৭৮ হেক্টর তিল, ১১ হেক্টর মুগ, ৩২ হেক্টর শাকসবজি, ২ হেক্টর পেঁপে ও ১৫০ হেক্টর আম বাগানের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

.

উপজেলার ঢুষপুর গ্রামের কৃষক এলাহী প্রামানিক জানান, ভালো ফলনের আশায় দোকান থেকে বাকিতে বীজ, সার ও কীটনাশক নিয়ে এসে আবাদ করেছেন। এখন ঋণের বোঝা টানতে হবে তাকে।

.

রহিমপুর গ্রামের কৃষক মোঃ বিদ্যুৎ হোসেন জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ধান ও ১০ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছেন। শিলাবৃষ্টিতে ৭৫ শতাংশ ধান ঝরে গেছে ও ৭০ শতাংশ পাটের ডগা ভেঙ্গে গেছে। ফসলের এমন ক্ষতিতে দিশেহারা তিনি।

.

উধনপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আলাউদ্দিন জালাল সময়ের প্রত্যাশাকে জানান, তার জমির ধান ও পাট নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে কয়েকদিন পর আমে পচন ধরা শুরু হলে ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হবে। এ বছর কিভাবে চলবেন সেই দুঃশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

.

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। পাট ও তিলের জমিতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানে বোনা আমন ধান চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত কৃষকের বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের একটি প্রাথমিক তালিকা করা হচ্ছে যাতে সরকারি সহায়তা আসলে দ্রুত তাদেরকে সহায়তা করা যায়। এছাড়া কৃষকদের সার্বিক সহায়তায় উপজেলা কৃষি অফিস তৎপর রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

error: Content is protected !!

লালপুরে হঠাৎ শিলা বৃষ্টি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ফসলের

আপডেট টাইম : ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি :

রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ

 

হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ধান, পাট, তিল, সবজি ক্ষেত ও আম সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে, ২০২৫) বিকালে আধা ঘন্টার এ শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার বিলমাড়িয়া, আড়বাব, লালপুর ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে হেলে পড়েছে কয়েক শত হেক্টর জমির ধান। ভেঙে গেছে পাট গাছ। ঝরে পড়েছে বাগানের আম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটল, করলা, কুমড়া সহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা চাইলেন সরকারি সহায়তা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিলা বৃষ্টিতে ৫৪ হেক্টর বোরো ধান, ১৩৭ হেক্টর পাট, ৭৮ হেক্টর তিল, ১১ হেক্টর মুগ, ৩২ হেক্টর শাকসবজি, ২ হেক্টর পেঁপে ও ১৫০ হেক্টর আম বাগানের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

.

উপজেলার ঢুষপুর গ্রামের কৃষক এলাহী প্রামানিক জানান, ভালো ফলনের আশায় দোকান থেকে বাকিতে বীজ, সার ও কীটনাশক নিয়ে এসে আবাদ করেছেন। এখন ঋণের বোঝা টানতে হবে তাকে।

.

রহিমপুর গ্রামের কৃষক মোঃ বিদ্যুৎ হোসেন জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ধান ও ১০ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছেন। শিলাবৃষ্টিতে ৭৫ শতাংশ ধান ঝরে গেছে ও ৭০ শতাংশ পাটের ডগা ভেঙ্গে গেছে। ফসলের এমন ক্ষতিতে দিশেহারা তিনি।

.

উধনপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আলাউদ্দিন জালাল সময়ের প্রত্যাশাকে জানান, তার জমির ধান ও পাট নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে কয়েকদিন পর আমে পচন ধরা শুরু হলে ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হবে। এ বছর কিভাবে চলবেন সেই দুঃশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

.

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। পাট ও তিলের জমিতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানে বোনা আমন ধান চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত কৃষকের বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের একটি প্রাথমিক তালিকা করা হচ্ছে যাতে সরকারি সহায়তা আসলে দ্রুত তাদেরকে সহায়তা করা যায়। এছাড়া কৃষকদের সার্বিক সহায়তায় উপজেলা কৃষি অফিস তৎপর রয়েছে।


প্রিন্ট