রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ধান, পাট, তিল, সবজি ক্ষেত ও আম সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে, ২০২৫) বিকালে আধা ঘন্টার এ শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার বিলমাড়িয়া, আড়বাব, লালপুর ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে হেলে পড়েছে কয়েক শত হেক্টর জমির ধান। ভেঙে গেছে পাট গাছ। ঝরে পড়েছে বাগানের আম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটল, করলা, কুমড়া সহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা চাইলেন সরকারি সহায়তা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিলা বৃষ্টিতে ৫৪ হেক্টর বোরো ধান, ১৩৭ হেক্টর পাট, ৭৮ হেক্টর তিল, ১১ হেক্টর মুগ, ৩২ হেক্টর শাকসবজি, ২ হেক্টর পেঁপে ও ১৫০ হেক্টর আম বাগানের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
.
উপজেলার ঢুষপুর গ্রামের কৃষক এলাহী প্রামানিক জানান, ভালো ফলনের আশায় দোকান থেকে বাকিতে বীজ, সার ও কীটনাশক নিয়ে এসে আবাদ করেছেন। এখন ঋণের বোঝা টানতে হবে তাকে।
.
রহিমপুর গ্রামের কৃষক মোঃ বিদ্যুৎ হোসেন জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ধান ও ১০ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছেন। শিলাবৃষ্টিতে ৭৫ শতাংশ ধান ঝরে গেছে ও ৭০ শতাংশ পাটের ডগা ভেঙ্গে গেছে। ফসলের এমন ক্ষতিতে দিশেহারা তিনি।
.
উধনপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আলাউদ্দিন জালাল সময়ের প্রত্যাশাকে জানান, তার জমির ধান ও পাট নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে কয়েকদিন পর আমে পচন ধরা শুরু হলে ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হবে। এ বছর কিভাবে চলবেন সেই দুঃশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
.
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। পাট ও তিলের জমিতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানে বোনা আমন ধান চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত কৃষকের বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের একটি প্রাথমিক তালিকা করা হচ্ছে যাতে সরকারি সহায়তা আসলে দ্রুত তাদেরকে সহায়তা করা যায়। এছাড়া কৃষকদের সার্বিক সহায়তায় উপজেলা কৃষি অফিস তৎপর রয়েছে।
প্রিন্ট