ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন এর অফিস উদ্বোধন Logo বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণ অনিয়মের অভিযোগ Logo মামলার পাহাড় কমাতে কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন কমিটির পদক্ষেপ Logo কুষ্টিয়ায় তামাকের গাছ কাটার সময় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্র নিহত Logo রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতা পাভেল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন Logo নাগরপুরে সরকারি বইসহ ট্রাক জব্দ, প্রধান শিক্ষক পলাতক Logo ছাত্রীকে লাইব্রেরিতে ডেকে কুপ্রস্তাব দিলেন প্রধান শিক্ষক Logo চরভদ্রাসনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এইচবিবি রাস্তা নির্মাণে এলাকাবাসীর অভিযোগ Logo তানোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এক পরিবারকে একঘরে Logo সদরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আসামি গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে ভূমিদস্যুরা

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ফসলি জমি ও সরকারি খাল-নদীর মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসবে মেতে উঠেছে একদল ভূমিদস্যু। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার পরমেশ্বরদী, শেখর, রূপাপাত ও চতুল ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষিজমি এবং কুমার নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে তা ইটভাটা ও ভরাট কাজে বিক্রি করেছেন হাসামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন মোল্লা।

.

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী মাঠের আলেক শরীফের ফসলি জমি ও পুকুর থেকে রাত-দিন মাটি কেটে নিচ্ছেন হারুন ও তার সহযোগী রাসেল। গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই মাটি কাটার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিরক্ত ও আতঙ্কিত। রাতে ভারী যানবাহনের শব্দে ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে আশপাশের মানুষের, ব্যাহত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা।

.

স্থানীয়রা জানান, হারুন ও তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। অনেকে ভয়ে বা প্রলোভনে জমির মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান।

.

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, হারুন শুধু ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নয়, বরং কুমার নদীর পাড় থেকেও অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করেছেন। এতে করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার কৃষি উৎপাদন ও পরিবেশ।

.

সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা রাসেল বলেন, “আমরা ইটভাটা ও ভরাট কাজে মাটি বিক্রি করছি। তেলজুড়ী খাল থেকে মাটি কেটে ট্রলি ও বেকু যাওয়ার রাস্তা তৈরি করেছি।”

.

হারুন মোল্লার কাছে ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং বলেন, “আপনি আমাকে চিনেন না?”

.

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেল বলেন, “আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। ফসলি জমির মাটি কোনোভাবেই কাটা যাবে না। মাটি বিক্রিও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন এর অফিস উদ্বোধন

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে ভূমিদস্যুরা

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ফসলি জমি ও সরকারি খাল-নদীর মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসবে মেতে উঠেছে একদল ভূমিদস্যু। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার পরমেশ্বরদী, শেখর, রূপাপাত ও চতুল ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষিজমি এবং কুমার নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে তা ইটভাটা ও ভরাট কাজে বিক্রি করেছেন হাসামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন মোল্লা।

.

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী মাঠের আলেক শরীফের ফসলি জমি ও পুকুর থেকে রাত-দিন মাটি কেটে নিচ্ছেন হারুন ও তার সহযোগী রাসেল। গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই মাটি কাটার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিরক্ত ও আতঙ্কিত। রাতে ভারী যানবাহনের শব্দে ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে আশপাশের মানুষের, ব্যাহত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা।

.

স্থানীয়রা জানান, হারুন ও তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। অনেকে ভয়ে বা প্রলোভনে জমির মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান।

.

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, হারুন শুধু ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নয়, বরং কুমার নদীর পাড় থেকেও অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করেছেন। এতে করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার কৃষি উৎপাদন ও পরিবেশ।

.

সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা রাসেল বলেন, “আমরা ইটভাটা ও ভরাট কাজে মাটি বিক্রি করছি। তেলজুড়ী খাল থেকে মাটি কেটে ট্রলি ও বেকু যাওয়ার রাস্তা তৈরি করেছি।”

.

হারুন মোল্লার কাছে ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং বলেন, “আপনি আমাকে চিনেন না?”

.

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেল বলেন, “আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। ফসলি জমির মাটি কোনোভাবেই কাটা যাবে না। মাটি বিক্রিও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।”


প্রিন্ট