ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আ.লীগ একটি বাজে দল, প্রত্যেক লিডারশিপের হাতে রক্তঃ -প্রেস সচিব শফিকুল আলম Logo দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ ৩ ভারতীয় আটক Logo লালপুরে মারধর ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, আহত ১ Logo বাঘায় পুকুরে গোসল করতে নেমে বয়স্ক নারীর মৃত্যু Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন Logo কুষ্টিয়ায় গভীর রাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, দেখে নেওয়ার হুমকি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ছাত্রদল নেতার বাড়িতে মধ্যরাতের পুলিশি তাণ্ডবঃ ঘুষ চাওয়া ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধাঃ

নরসিংদীতে ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলার বানিয়াছলে মাদক ও ডিস ব্যবসা নিয়ে প্রভাব বিস্তারের দ্বন্দ্বে নির্মমভাবে খুন হন আল-আমিন ওরফে চান্দু আল-আমিন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় তিনজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও সুজন ভূঁইয়ার সম্পৃক্ততার কথা কেউ উল্লেখ করেননি।

.

অথচ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন ভূঁইয়া দাবি করেছেন-তৎকালীন নরসিংদী সদর আসনের এমপি হিরোর ‘নির্দেশে’ পরিকল্পিতভাবে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।

.

সুজনের অভিযোগ, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নরসিংদী সদর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল গাফফার তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু সুজন ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময়ে তাকে টার্গেট করে পুলিশের একটি দল মধ্যরাতে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এর একদিন আগেই নরসিংদীতে জেলা কারাগার ছাত্ররা ভেঙে পুড়িয়ে দেয়। জুলাই আন্দোলনের সুজন সক্রিয় ভূমিকাও রেখেছিলেন বলে জানান।

.

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন গভীর রাতে-প্রায় রাত ১২টার পরে- ২০-২৫ জনের একটি পুলিশ বাহিনী সুজনের বাড়িতে ঢুকে বারিন্দার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে। ঘরের ফ্রিজ, টেলিভিশন, স্টিলের আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং তার স্ত্রীর সাথেও অশালীন আচরণ করে।

.

এ প্রসঙ্গে সুজনের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের সবকিছু ভাঙচুর করেছে। এসআই আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বেই পুরো অভিযানটি পরিচালিত হয়।”

.

ঘটনার ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, এসআই আব্দুল গাফফার বলেন, “আমি একদিন দিনের বেলা সুজনের স্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, তবে রাতের ঘটনাটি আমি জানি না। মোবাইলে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

.

স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে একজন ছাত্রনেতাকে নিশ্চিহ্ন করতে এই হামলা ছিল পরিকল্পিত। সুজনকে ঐদিন পুলিশ পেলে মেরে ফেলতো বলেও ধারণা তাদের। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ঘুষ দাবির মত ঘটনার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।

.

নরসিংদীর সচেতন নাগরিকমহল প্রশাসনের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আ.লীগ একটি বাজে দল, প্রত্যেক লিডারশিপের হাতে রক্তঃ -প্রেস সচিব শফিকুল আলম

error: Content is protected !!

ছাত্রদল নেতার বাড়িতে মধ্যরাতের পুলিশি তাণ্ডবঃ ঘুষ চাওয়া ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
মোঃ আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ আলম মৃধাঃ

নরসিংদীতে ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলার বানিয়াছলে মাদক ও ডিস ব্যবসা নিয়ে প্রভাব বিস্তারের দ্বন্দ্বে নির্মমভাবে খুন হন আল-আমিন ওরফে চান্দু আল-আমিন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় তিনজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও সুজন ভূঁইয়ার সম্পৃক্ততার কথা কেউ উল্লেখ করেননি।

.

অথচ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন ভূঁইয়া দাবি করেছেন-তৎকালীন নরসিংদী সদর আসনের এমপি হিরোর ‘নির্দেশে’ পরিকল্পিতভাবে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।

.

সুজনের অভিযোগ, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নরসিংদী সদর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল গাফফার তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু সুজন ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময়ে তাকে টার্গেট করে পুলিশের একটি দল মধ্যরাতে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এর একদিন আগেই নরসিংদীতে জেলা কারাগার ছাত্ররা ভেঙে পুড়িয়ে দেয়। জুলাই আন্দোলনের সুজন সক্রিয় ভূমিকাও রেখেছিলেন বলে জানান।

.

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন গভীর রাতে-প্রায় রাত ১২টার পরে- ২০-২৫ জনের একটি পুলিশ বাহিনী সুজনের বাড়িতে ঢুকে বারিন্দার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে। ঘরের ফ্রিজ, টেলিভিশন, স্টিলের আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং তার স্ত্রীর সাথেও অশালীন আচরণ করে।

.

এ প্রসঙ্গে সুজনের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের সবকিছু ভাঙচুর করেছে। এসআই আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বেই পুরো অভিযানটি পরিচালিত হয়।”

.

ঘটনার ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, এসআই আব্দুল গাফফার বলেন, “আমি একদিন দিনের বেলা সুজনের স্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, তবে রাতের ঘটনাটি আমি জানি না। মোবাইলে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

.

স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে একজন ছাত্রনেতাকে নিশ্চিহ্ন করতে এই হামলা ছিল পরিকল্পিত। সুজনকে ঐদিন পুলিশ পেলে মেরে ফেলতো বলেও ধারণা তাদের। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ঘুষ দাবির মত ঘটনার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।

.

নরসিংদীর সচেতন নাগরিকমহল প্রশাসনের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন।


প্রিন্ট