ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগরপুরে সৎ মাকে ঘর থেকে বের করে তালা দেওয়ার অভিযোগ ছেলেদের বিরুদ্ধে

সোলায়মানঃ

 

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় সৎ মাকে বসবাসের ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে।

 

ভুক্তভোগী ফুলমালা বেগম জানান, তার স্বামী মৃত আনছু পীর সাহেব মৃত্যুর আগে তাকে ২ শতাংশ বাড়ির জমি এবং ২ শতাংশ আবাদি জমিসহ মোট ৪ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে যান। আনছু পীর সাহেব তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ফুলমালাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে এবং চার মেয়ে রয়েছে।

 

ফুলমালা অভিযোগ করে বলেন, “আমার স্বামী তার জীবদ্দশায় তার দুই ছেলের নামে বাকি সব জমিজমা লিখে দেন। কিন্তু কেউই আমাদের ঠিকমতো ভরণপোষণ করত না। আমার স্বামী পীর সাহেব হিসেবে তার ভক্তদের দান-খয়রাতেই কোনোভাবে দিন চলত। স্বামী মারা যাওয়ার পরই তার প্রথম স্ত্রীর ছেলেরা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এখন আমি খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি।”

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছেলে ছালাম বলেন, “ঘরটি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। মা তখন বাড়িতে ছিলেন না, তাই আমরা তালা দিয়েছি যাতে কোনো জিনিসপত্র না হারিয়ে যায়।”

 

অন্য ছেলে বারেক বলেন, “ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা কাউকে থাকতে দিই না। ভবিষ্যতে আমি এখানে বিল্ডিং করব। তখন মা আমার সাথেই থাকবেন।”

 

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নাগরপুরে সৎ মাকে ঘর থেকে বের করে তালা দেওয়ার অভিযোগ ছেলেদের বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
সোলায়মান, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :

সোলায়মানঃ

 

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় সৎ মাকে বসবাসের ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে।

 

ভুক্তভোগী ফুলমালা বেগম জানান, তার স্বামী মৃত আনছু পীর সাহেব মৃত্যুর আগে তাকে ২ শতাংশ বাড়ির জমি এবং ২ শতাংশ আবাদি জমিসহ মোট ৪ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে যান। আনছু পীর সাহেব তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ফুলমালাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে এবং চার মেয়ে রয়েছে।

 

ফুলমালা অভিযোগ করে বলেন, “আমার স্বামী তার জীবদ্দশায় তার দুই ছেলের নামে বাকি সব জমিজমা লিখে দেন। কিন্তু কেউই আমাদের ঠিকমতো ভরণপোষণ করত না। আমার স্বামী পীর সাহেব হিসেবে তার ভক্তদের দান-খয়রাতেই কোনোভাবে দিন চলত। স্বামী মারা যাওয়ার পরই তার প্রথম স্ত্রীর ছেলেরা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এখন আমি খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি।”

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছেলে ছালাম বলেন, “ঘরটি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। মা তখন বাড়িতে ছিলেন না, তাই আমরা তালা দিয়েছি যাতে কোনো জিনিসপত্র না হারিয়ে যায়।”

 

অন্য ছেলে বারেক বলেন, “ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা কাউকে থাকতে দিই না। ভবিষ্যতে আমি এখানে বিল্ডিং করব। তখন মা আমার সাথেই থাকবেন।”

 

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


প্রিন্ট