ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে Logo গোদাগাড়ী সীমান্তে ফেনসিডিলের হাট Logo কাশিমপুরে পিতার বিচার চেয়ে ছেলের সংবাদ সম্মেলন, এলাকায় চাঞ্চল্য Logo শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে Logo ফরিদপুরের মধুখালিতে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা ও অর্থ পাচার চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্য আটক Logo বালিয়াকান্দিতে উপজেলা দিবস উপলক্ষ্যে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে খাইরুল ইসলাম নীলুর স্মরণে “স্মরণ সভা” অনুষ্ঠিত Logo তারেক রহমানকে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপগঞ্জে বিক্ষোভ Logo মুকসুদপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১ Logo ঢাকা মিটফোর্ডে আলোচিত ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে গংগাচড়ায় বিক্ষোভ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রোববার সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বোয়ালমারীর ১০ গ্রামের ঈদুল ফিতর উদযাপন

এস. এম রবিউল ইসলাম রুবেলঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন আগামীকাল। শনিবার (২৯ মার্চ) সৌদির আকাশে চাঁদ ওঠা নিশ্চিত হওয়ার পরে ওই এলাকার বাসিন্দারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

রোববার (৩০ মার্চ) এসব গ্রামের মানুষ সকালে ঈদের জামাত আদায় করবেন। তারা সবাই চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাহমুদাবাদ মির্জাখিল দরবার শরিফের আনুসারী বলেও জানা যায়।

 

জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। এজন্য একদিন আগে ওই ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

 

বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ পালন করে থাকে। এদের মধ্যে সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ও রাখালতলী গ্রামের মোট তিনটি স্থানে ঈদের নামাজ প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের অনুসারী যারা তারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করে থাকি । এখানে ঈদের নামাজ পড়তে মুহম্মদপুর, মুকসুদপুর, আলফাডাঙ্গা সহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন উপস্থিত হয়।

 

এদের মধ্যে সহস্রাইল গ্রামের ঈদুল ফিতরের সব চেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

 

সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মীর বলেন, দুইশত বছর ধরে সহস্রাইল উত্তরপাড়া জামে মসজিদে, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব মুসলমানরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

 

দিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের বাবা দাদাদের আমল থেকে আমরা সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগে রোজা শুরু করি। এজন্য তাদের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি।

 

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, সৌদির সাথে মিল রেখে উপজেলার তিনটি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানতে পেরেছি । শান্তিপূর্ণ ভাবে তারা নামাজ আদায় করবেন বলে আমার আশা। তবে তাদের প্রয়োজনে শান্তি রক্ষার্থে পুলিশ প্রস্তুত আছে।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে

error: Content is protected !!

রোববার সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বোয়ালমারীর ১০ গ্রামের ঈদুল ফিতর উদযাপন

আপডেট টাইম : ১১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
এস. এম রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

এস. এম রবিউল ইসলাম রুবেলঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন আগামীকাল। শনিবার (২৯ মার্চ) সৌদির আকাশে চাঁদ ওঠা নিশ্চিত হওয়ার পরে ওই এলাকার বাসিন্দারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

রোববার (৩০ মার্চ) এসব গ্রামের মানুষ সকালে ঈদের জামাত আদায় করবেন। তারা সবাই চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাহমুদাবাদ মির্জাখিল দরবার শরিফের আনুসারী বলেও জানা যায়।

 

জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। এজন্য একদিন আগে ওই ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

 

বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ পালন করে থাকে। এদের মধ্যে সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ও রাখালতলী গ্রামের মোট তিনটি স্থানে ঈদের নামাজ প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের অনুসারী যারা তারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করে থাকি । এখানে ঈদের নামাজ পড়তে মুহম্মদপুর, মুকসুদপুর, আলফাডাঙ্গা সহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন উপস্থিত হয়।

 

এদের মধ্যে সহস্রাইল গ্রামের ঈদুল ফিতরের সব চেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

 

সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মীর বলেন, দুইশত বছর ধরে সহস্রাইল উত্তরপাড়া জামে মসজিদে, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব মুসলমানরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

 

দিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের বাবা দাদাদের আমল থেকে আমরা সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগে রোজা শুরু করি। এজন্য তাদের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি।

 

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, সৌদির সাথে মিল রেখে উপজেলার তিনটি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানতে পেরেছি । শান্তিপূর্ণ ভাবে তারা নামাজ আদায় করবেন বলে আমার আশা। তবে তাদের প্রয়োজনে শান্তি রক্ষার্থে পুলিশ প্রস্তুত আছে।

 


প্রিন্ট