কমরেড খোন্দকারঃ
গত ১১ মার্চজেনেভা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের উপর একটি সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এশিয়া রেজনের ডিপুটি ডাইরেক্টর মিনাকসি গাংগুলি ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট এর হত্যাকান্ড এবং পূর্ববর্তীতে পুলিশ, র্যাব কর্তৃক ধরপাকড় ও গুম হওয়ার উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এই প্রতিবেদনে জুলাই আগস্ট সকল হত্যাকান্ডের জন্য তৎকালীন আওয়ামী সরকারের উপর দোষারোপ করা হয়। কিছু চিত্রে আয়না ঘর দেখানোর চেষ্টা করা হয় যেখানে শুধু কিছু ভাঙা ইট ছাড়া আর কিছুই ছিল না। প্রতিবেদটির নাম দেওয়া হয়েছে মনসুন রেভুলুশন এন্ড হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ। এসময় গুম হওয়া একজনের পরিবারের পক্ষে সানজিদা ইসলাম নামক একজন সাক্ষ্য দেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই প্রতিবেদনে হাজার হাজার নিরীহ পুলিশ গুলি করে, কুপিয়ে ও পুরিয়ে হত্যার করার কোন তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। জুলাই আগস্ট থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার আওয়ামী পন্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও ৭১ এর স্বাধীনতার পক্ষের নিরপরাধ মানুষ মব জাস্টিস নামে হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করার কোন তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি যা এখনো চলমান। সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৭.৬২ ক্যালিভারের বুলেট কে বা কারা ব্যবহার করেছিল তারও কোন উল্লেখ ছিল না এই মনসুন রেভুলুশন এন্ড হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ নামক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে সভাস্থলে উপস্থিত জমাদার নজরুল ইসলাম, শ্যামল খান ও খলিলুর রহমান মিনাকসি গাংগুলির সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলেন এবং প্রতিবেদনটি একপেশে, ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ বলে উল্লেখ করে যুক্তি প্রমাণ দেন এবং প্রতিবেদনটি সংশোধন করার দাবি জানান। যুক্তিতর্ক শেষে মিনাকসি গাংগুলি যুক্তির পক্ষের প্রমাণপত্র তার ইমেইলে পাঠানোর অনুরোধ জানান এবং তিনি আলোচিত বিষয়গুলি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রিন্ট