আব্দুল হামিদ মিঞাঃ
চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করার মামলায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হাজির হয়ে বিজ্ঞ কৌশলীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের অতিরিক্ত চীফ ম্যাজিস্টেট সাইফুল ইসলাম জামিন না নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাদি পক্ষের আইনজীবী আজিজুল আলম। তিনি জানান, নিলুফা ইয়াসমিন বাদি হয়ে ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেছেন। (মামলা নং-৫২৮-সি/২৪)। বাদি নিলুফা ইয়াসমিন উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের শাজাহান আলীর মেয়ে।
বাদি পক্ষের আইনজীবী আজিজুল আলম জানান, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২১ সালে নিলুফা ইয়াসমিনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা নেন ফাতেমা খাতুন লতা। পরে চাকরি দিতে না পারায় ফাতেমা খাতুন লতার কাছে টাকা ফেরত চান নিলুফা ইয়াসমিন। পরে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন নিলুফা ইয়াসমিন। মামলার আগ পর্যন্ত চাকরি কিংবা টাকা দিতে ব্যর্থ হন ফাতেমা খাতুন লতা।
নিলুফা ইয়াসমিন জানান, স্ট্যাম্পে লিখিত ছাড়াও ফাতেমা খাতুন লতা আমাকে একটি চেক প্রদান করেছেন। সেটি তার “আশার আলো সংস্থা” ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে। এই হিসাবটি সিলসহ যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু যৌথ স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার না করে একক স্বাক্ষরে আমাকে চেকটি প্রদান করেছেন।
ফাতেমা খাতুন লতার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার আরো দুটি মামলা রয়েছে বলে আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানা গেছে। এর একটি ২৫ লাখ টাকার এবং অন্যটি ১৫ লাখ টাকার। কারাগারে যাওয়ায় ফাতেমা খাতুন লতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অন্য সূত্রে জানা গেছে, যতো টাকা নেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, ততো টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। তবে পাকা চেক দিয়ে টাকা নিয়েছে—এটা সত্য।
প্রিন্ট