ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে বিএনপির ইফতার মাহফিলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ Logo বাঘায় ট্রাক ও চার্জার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুর মৃত্যু Logo লালপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনাঃ জরিমানা Logo নরসিংদীতে ধর্ষকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন Logo প্রতারণা মামলায় কারাগারে বাঘা মহিলা আ’লীগ নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান Logo বাঘায় উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ পেলেন ১৪ জন Logo এখন আর নামাজ আদায় হয় না যে মসজিদে Logo নাটোরে স্ত্রীর মামলায় বরখাস্তকৃত এসপি কারাগারে, সংবাদকর্মীদের উপর হামলা Logo সদরপুরে ন্যাশনাল হাসপাতালের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নাটোরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পলাশে সুমন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা

মোঃ আলম মৃধাঃ

 

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমান নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার হত্যা করে দুর্বৃত্ত। এই সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবা আলম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। গত (১০ মার্চ) সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় দিকে পলাশ উপজেলার জয়নগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

 

নিহত সুমন মিয়া পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা যায়।

 

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে জয়নগর বাজারে সুমনের চাচা মুকুল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আয়ুব মিয়া, তারেক ও দেলোয়ারদের অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় আয়ুব মিয়া, তারেক ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি দল মুকুলের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। হামলার কথা শুনে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়া ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।

 

এসময় হামলাকারীরা তাদের সামনে পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমনের বাবা আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

নিহতের চাচা মুকুল মিয়া জানান, আমার মা অটোরিকশায় বাজার থেকে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। এসময় আয়ুব মিয়া ও তারেক ওই অটোরিকশায় যেতে চেয়েছিল। রিকশাচালক মাকে রেখে তাদের না নেয়ায় তারা খারাপ আচরণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করতে আসে। তারা সুমন ও তার বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

 

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শওকত হাসান জানান, রাতে দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে সুমনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আলম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

 

এ বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলাছে পুলিশ। তারা এখনও মামলা করতে আসেনি। নিহতের জানাযা ও দাফন শেষে মামলা করতে আসবে বলে জানিয়েছে তারা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে বিএনপির ইফতার মাহফিলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

error: Content is protected !!

পলাশে সুমন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা

আপডেট টাইম : ৫ ঘন্টা আগে
মোঃ আলম মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী :

মোঃ আলম মৃধাঃ

 

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমান নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার হত্যা করে দুর্বৃত্ত। এই সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবা আলম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। গত (১০ মার্চ) সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় দিকে পলাশ উপজেলার জয়নগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

 

নিহত সুমন মিয়া পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা যায়।

 

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে জয়নগর বাজারে সুমনের চাচা মুকুল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আয়ুব মিয়া, তারেক ও দেলোয়ারদের অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় আয়ুব মিয়া, তারেক ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি দল মুকুলের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। হামলার কথা শুনে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়া ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।

 

এসময় হামলাকারীরা তাদের সামনে পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমনের বাবা আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

নিহতের চাচা মুকুল মিয়া জানান, আমার মা অটোরিকশায় বাজার থেকে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। এসময় আয়ুব মিয়া ও তারেক ওই অটোরিকশায় যেতে চেয়েছিল। রিকশাচালক মাকে রেখে তাদের না নেয়ায় তারা খারাপ আচরণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করতে আসে। তারা সুমন ও তার বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

 

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শওকত হাসান জানান, রাতে দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে সুমনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আলম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

 

এ বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলাছে পুলিশ। তারা এখনও মামলা করতে আসেনি। নিহতের জানাযা ও দাফন শেষে মামলা করতে আসবে বলে জানিয়েছে তারা।


প্রিন্ট