মোঃ আলম মৃধাঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমান নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার হত্যা করে দুর্বৃত্ত। এই সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবা আলম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। গত (১০ মার্চ) সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় দিকে পলাশ উপজেলার জয়নগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সুমন মিয়া পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে জয়নগর বাজারে সুমনের চাচা মুকুল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আয়ুব মিয়া, তারেক ও দেলোয়ারদের অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় আয়ুব মিয়া, তারেক ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি দল মুকুলের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। হামলার কথা শুনে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়া ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।
এসময় হামলাকারীরা তাদের সামনে পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমনের বাবা আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের চাচা মুকুল মিয়া জানান, আমার মা অটোরিকশায় বাজার থেকে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। এসময় আয়ুব মিয়া ও তারেক ওই অটোরিকশায় যেতে চেয়েছিল। রিকশাচালক মাকে রেখে তাদের না নেয়ায় তারা খারাপ আচরণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করতে আসে। তারা সুমন ও তার বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শওকত হাসান জানান, রাতে দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে সুমনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আলম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলাছে পুলিশ। তারা এখনও মামলা করতে আসেনি। নিহতের জানাযা ও দাফন শেষে মামলা করতে আসবে বলে জানিয়েছে তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111