ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হাতিয়ায় হলিশ সহ ৬টি ট্রলারে ৯৩জন জেলেকে আটক করেছে কোষ্টগার্ড Logo নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৪ Logo চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মিলি বিশ্বাসের পথসভা অনুষ্ঠিত Logo কাশিমপুর কারাগারে ঠাঁই হল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী’র Logo চট্টগ্রামের পটিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে ৭ শিক্ষার্থী অপহ্রতঃ মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত Logo নড়াইলের লোহাগড়ার কাউলিডাঙ্গা বিলে যুবক খুন Logo অভিযুক্ত দুইজনের মধ্যে গ্রেপ্তার এক Logo হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী Logo রাজবাড়ীতে পুড়ে গেছে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার Logo গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মহোদয়ের দিনাজপুর জেলায় আগমন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

অভিযোগ যবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

পরীক্ষা না দিয়েও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী

কাজী নূরঃ

 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছে।

 

এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। এটিকে গুরুতর অপরাধ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ ধরণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকুরিচ্যুতির বিধান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ প্রথম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে এমবিএ-২২২৩০৯ রোলধারী এক শিক্ষার্থী এমকেটি-৫১০৭ কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে পাস দেখানো হয়েছে।

 

টাইপিং মিস্টেক হয়েছে কি-না যাচাইয়ে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থীর নাম্বারের সাথে পরবর্তী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নাম্বারের কোন মিল নেই, যা প্রমাণ করে এটি টাইপিং মিস্টেক নয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যবিপ্রবির এক কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে টাইপিং মিস্টেক হওয়ার সুযোগ নেই। আবার বিভাগে থাকা উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পাঠানো উপস্থিতি পত্রে কিভাবে ওই শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানো হলো? এটি অনেক বড় প্রশ্ন!

 

এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এসএম শরীফুল হক ও ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ সালিউদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক মোঃ আমিনুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। যদি এধরণের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হাতিয়ায় হলিশ সহ ৬টি ট্রলারে ৯৩জন জেলেকে আটক করেছে কোষ্টগার্ড

error: Content is protected !!

অভিযোগ যবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

পরীক্ষা না দিয়েও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী

আপডেট টাইম : ১০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :

কাজী নূরঃ

 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছে।

 

এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। এটিকে গুরুতর অপরাধ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ ধরণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকুরিচ্যুতির বিধান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ প্রথম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে এমবিএ-২২২৩০৯ রোলধারী এক শিক্ষার্থী এমকেটি-৫১০৭ কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে পাস দেখানো হয়েছে।

 

টাইপিং মিস্টেক হয়েছে কি-না যাচাইয়ে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থীর নাম্বারের সাথে পরবর্তী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নাম্বারের কোন মিল নেই, যা প্রমাণ করে এটি টাইপিং মিস্টেক নয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যবিপ্রবির এক কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে টাইপিং মিস্টেক হওয়ার সুযোগ নেই। আবার বিভাগে থাকা উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পাঠানো উপস্থিতি পত্রে কিভাবে ওই শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানো হলো? এটি অনেক বড় প্রশ্ন!

 

এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এসএম শরীফুল হক ও ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ সালিউদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক মোঃ আমিনুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। যদি এধরণের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট