ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মঙ্গলকোটে মঙ্গলচণ্ডী পুজোয় পুলিশের জলছত্র Logo কুড়ানো আলুই ওদের সারা বছরের খাবার ! Logo সংকট উত্তরণে এখনই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেইঃ -নার্গিস বেগম Logo ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্যারাসিটামল ,কলেরা স্যালাইন ও এক্সরে ফিল্ম নেই Logo দৌলতপুরে জামায়াতের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo মধুখালীতে শয়তানের নিঃশ্বাস পার্টি চক্রের দুই সদস্য আটক Logo রায়পুরায় তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ Logo ১৬ বছর বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনের বীজ বপন করেছে বিধায় হাসিনার পতন হয়েছেঃ-মাহবুবের রহমান শামীম Logo লালপুরে জামাতের ইফতার মাহফিল Logo সুদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যেম সকল ষড়যন্ত্র মুছতে হবেঃ -হারুন অর রশীদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

অভিযোগ যবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

পরীক্ষা না দিয়েও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী

কাজী নূরঃ

 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছে।

 

এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। এটিকে গুরুতর অপরাধ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ ধরণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকুরিচ্যুতির বিধান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ প্রথম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে এমবিএ-২২২৩০৯ রোলধারী এক শিক্ষার্থী এমকেটি-৫১০৭ কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে পাস দেখানো হয়েছে।

 

টাইপিং মিস্টেক হয়েছে কি-না যাচাইয়ে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থীর নাম্বারের সাথে পরবর্তী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নাম্বারের কোন মিল নেই, যা প্রমাণ করে এটি টাইপিং মিস্টেক নয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যবিপ্রবির এক কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে টাইপিং মিস্টেক হওয়ার সুযোগ নেই। আবার বিভাগে থাকা উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পাঠানো উপস্থিতি পত্রে কিভাবে ওই শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানো হলো? এটি অনেক বড় প্রশ্ন!

 

এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এসএম শরীফুল হক ও ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ সালিউদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক মোঃ আমিনুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। যদি এধরণের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মঙ্গলকোটে মঙ্গলচণ্ডী পুজোয় পুলিশের জলছত্র

error: Content is protected !!

অভিযোগ যবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

পরীক্ষা না দিয়েও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী

আপডেট টাইম : ১০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :

কাজী নূরঃ

 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছে।

 

এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। এটিকে গুরুতর অপরাধ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ ধরণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকুরিচ্যুতির বিধান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ প্রথম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে এমবিএ-২২২৩০৯ রোলধারী এক শিক্ষার্থী এমকেটি-৫১০৭ কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে পাস দেখানো হয়েছে।

 

টাইপিং মিস্টেক হয়েছে কি-না যাচাইয়ে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থীর নাম্বারের সাথে পরবর্তী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নাম্বারের কোন মিল নেই, যা প্রমাণ করে এটি টাইপিং মিস্টেক নয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যবিপ্রবির এক কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে টাইপিং মিস্টেক হওয়ার সুযোগ নেই। আবার বিভাগে থাকা উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পাঠানো উপস্থিতি পত্রে কিভাবে ওই শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানো হলো? এটি অনেক বড় প্রশ্ন!

 

এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এসএম শরীফুল হক ও ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ সালিউদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক মোঃ আমিনুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। যদি এধরণের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট