ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চট্টগ্রামের পটিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে ৭ শিক্ষার্থী অপহ্রতঃ মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত Logo নড়াইলের লোহাগড়ার কাউলিডাঙ্গা বিলে যুবক খুন Logo গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মহোদয়ের দিনাজপুর জেলায় আগমন Logo তানোরে ফসলী জমি হ্রাস খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে আইনজীবীর গলিত মরদেহ উদ্ধার Logo বোয়ালমারীতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা Logo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ Logo বাল্যবিবাহ ও মাদক সমাজের ভয়ংকর ব্যাধিঃ -ইউএনও ফয়সাল আহমেদ Logo গাজীপুরের অধ্যাপক এম. এ মান্নান এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরে সাদা সাদা গুচ্ছ ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ। ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়তে শুরু করে। তাই পাতা শুন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলে বিমোহিত হয়। বাংলাদেশের অতি পরিচিত এক সবজি সজিনা বা সজনে পাতা। মূলত বিভিন্ন ধরনের খাবারের আনুষাঙ্গিক উপকরণ হিসেবে আমাদের দেশে এর ব্যবহার দেখা যায়। তবে এই সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। এমনকি বৈশ্বিকভাবেই সজিনা ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সজিনার পাতা, শিকড় এবং অপরিণত শুঁটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এছাড়া এই গাছের বাকল, শুঁটি, পাতা, বাদাম, বীজ, কন্দ, শিকড় এবং ফুলসহ গোটা অংশই খাওয়া যায়।

 

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার রাস্তার ধারে ও পতিত জমিতে হাজার হাজার সজিনা গাছ রয়েছে। এমকি প্রায় প্রতি বাড়ীতে দু’একটি করে সজিনা গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ীর পাশে,রাস্তার ধারে ও জমির আইলে লাগানো। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। গাছে ফলনও বেশী হয়। প্রতি বছর সজিনার শাখা বা ডাল রোপন করা হয়। তবে রোপনকৃত ডালের প্রায় ৩০ শতাংশ মারা যায়।

 

 

জানা গেছে, দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মত ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেন্টিমিটার থেকে ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০ থেকে ৪০ টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজিনা গাছ লাগানো হয়। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস।

 

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে,প্রতি বছর উপজেলায় বারোমাসি সজিনার ডাল বিতরণ ও রোপন করা হয়। এর মধ্যে এসব ডাল থেকে গাছ হয়েছে। সজিনার মৌসুম শেষে এ বছরও ডাল রোপন করা হবে।এ উপজেলার লবণামুক্ত মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে। উপজেলার প্রায় প্রতি বাড়ীতে কমবেশি সজিনা গাছ আছে।বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে জমির আইলে লাগানো সজিনা গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন আশা করা যায়। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। সজিনার ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজিনা গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনাখেত গড়ে তোলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের পটিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে ৭ শিক্ষার্থী অপহ্রতঃ মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত

error: Content is protected !!

তানোরে ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ

আপডেট টাইম : ০২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরে সাদা সাদা গুচ্ছ ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ। ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়তে শুরু করে। তাই পাতা শুন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলে বিমোহিত হয়। বাংলাদেশের অতি পরিচিত এক সবজি সজিনা বা সজনে পাতা। মূলত বিভিন্ন ধরনের খাবারের আনুষাঙ্গিক উপকরণ হিসেবে আমাদের দেশে এর ব্যবহার দেখা যায়। তবে এই সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। এমনকি বৈশ্বিকভাবেই সজিনা ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সজিনার পাতা, শিকড় এবং অপরিণত শুঁটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এছাড়া এই গাছের বাকল, শুঁটি, পাতা, বাদাম, বীজ, কন্দ, শিকড় এবং ফুলসহ গোটা অংশই খাওয়া যায়।

 

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার রাস্তার ধারে ও পতিত জমিতে হাজার হাজার সজিনা গাছ রয়েছে। এমকি প্রায় প্রতি বাড়ীতে দু’একটি করে সজিনা গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ীর পাশে,রাস্তার ধারে ও জমির আইলে লাগানো। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। গাছে ফলনও বেশী হয়। প্রতি বছর সজিনার শাখা বা ডাল রোপন করা হয়। তবে রোপনকৃত ডালের প্রায় ৩০ শতাংশ মারা যায়।

 

 

জানা গেছে, দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মত ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেন্টিমিটার থেকে ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০ থেকে ৪০ টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজিনা গাছ লাগানো হয়। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস।

 

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে,প্রতি বছর উপজেলায় বারোমাসি সজিনার ডাল বিতরণ ও রোপন করা হয়। এর মধ্যে এসব ডাল থেকে গাছ হয়েছে। সজিনার মৌসুম শেষে এ বছরও ডাল রোপন করা হবে।এ উপজেলার লবণামুক্ত মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে। উপজেলার প্রায় প্রতি বাড়ীতে কমবেশি সজিনা গাছ আছে।বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে জমির আইলে লাগানো সজিনা গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন আশা করা যায়। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। সজিনার ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজিনা গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনাখেত গড়ে তোলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।


প্রিন্ট