ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কার বিতরণ Logo পদ্মায় কাঙ্খিত পানি না থাকায়, জিকে’র মেইন তিনটি সেচ পাম্প বন্ধ Logo পেঁয়াজ বীজ কিনে কৃষকেরা প্রতারিতঃ থানায় অভিযোগ Logo গাজীপুরে শীতার্থদের মাঝে বিএনপি’র কম্বল বিতরন Logo রাজশাহীতে জাতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন Logo মধুখালীতে রাসবিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে একটি পুকুর কুড়ি পরিবারের দুর্ভোগ Logo মাগুরা সদর উপজেলার ৭ নং মঘী ইউনিয়নে কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo মধুখালীতে লালতীর সীড আয়োজিত ‘কৃষক মাঠ’ দিবস অনুষ্ঠিত Logo খোকসায় ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার প্রথম পর্ব সমাপ্তি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঈদের পশুঃ

ফরিদপুরে ৩৩ মন ওজনের সম্রাটের দর হাকানো হচ্ছে ১০ লাখ

  • ফরিদপুর অফিসঃ
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • ৪৫৬ বার পঠিত

আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের ৩৩ মণ ওজনের সম্রাটের দর হাকানো হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। পশুটি মালিক আদর করে নাম রেখেছে সম্রাট।
সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিলমামুদপুরে অবস্থিত মাইশা ডেইরী ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির জন্ম। সেখানেই অতিযতেœ লালন পালন করা হচ্ছে। গরুটি লম্বায় সাড়ে ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এপর্যন্ত ফরিদপুর জেলায় মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এই ৩৩ মন ওজনের সম্রাট। অনলাইনে ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ষাড় গরুটির ছবিসহ তথ্যাদি প্রকাশও করেছেন। গরুটিকে দেখতে অনেক উৎসুক মানুষ ওই খামারেও আসছেন।

মাইশা ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, তাঁর ডেইরী ফার্মের একটি গাভীর গর্ভে জন্ম হয় এই ষাড় বাছুরটির। এরপর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এটিকে লালন পালন করে বড় করেছেন। তিনি জানান, তাজা ঘাস, খড়, গম, ভুসি ও খৈল এসব প্রাকৃতিক খাবারই খাওয়ানো হয় এটিকে। প্রতিদিন প্রায় ১৬ কেজি খাবারের জন্য খরচ হয় এক হাজার টাকার মতো। ষাড়টি বড় করতে কোন কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম¦ন করেননি। মোটাতাজাকরণের কোন ওষুধ বা খাবার দিতে হয়নি।

এবারের কোরবানী ঈদকে সামনে রেখেই গরুটিকে প্রস্তুত করেছিলেন জানিয়ে সবুজ বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে গরুর খামারীরা খুব অসুবিধায় আছেন। অনলাইনে গরু বিক্রির কথা বলা হলেও অনেকে এর সম্মন্ধে ধারণা নেই। সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে গরু বিক্রির জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও ব্যবস্থা করা গেলেও তারা উপকৃত হতেন।

ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অধিপ্তর কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, ৩৩ মন ওজনের সম্রাটের খবর জেনেছি। ষাড় গরুটির ছবিসহ অনলাইনে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরুর হাট চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন, আগামী ১৪ তারিখে লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলে হয়তো এব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। খামারীদের সমস্যার বিষয়ে সরকার অবহিত রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কার বিতরণ

error: Content is protected !!

ঈদের পশুঃ

ফরিদপুরে ৩৩ মন ওজনের সম্রাটের দর হাকানো হচ্ছে ১০ লাখ

আপডেট টাইম : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
ফরিদপুর অফিসঃ :

আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের ৩৩ মণ ওজনের সম্রাটের দর হাকানো হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। পশুটি মালিক আদর করে নাম রেখেছে সম্রাট।
সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিলমামুদপুরে অবস্থিত মাইশা ডেইরী ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির জন্ম। সেখানেই অতিযতেœ লালন পালন করা হচ্ছে। গরুটি লম্বায় সাড়ে ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এপর্যন্ত ফরিদপুর জেলায় মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এই ৩৩ মন ওজনের সম্রাট। অনলাইনে ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ষাড় গরুটির ছবিসহ তথ্যাদি প্রকাশও করেছেন। গরুটিকে দেখতে অনেক উৎসুক মানুষ ওই খামারেও আসছেন।

মাইশা ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, তাঁর ডেইরী ফার্মের একটি গাভীর গর্ভে জন্ম হয় এই ষাড় বাছুরটির। এরপর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এটিকে লালন পালন করে বড় করেছেন। তিনি জানান, তাজা ঘাস, খড়, গম, ভুসি ও খৈল এসব প্রাকৃতিক খাবারই খাওয়ানো হয় এটিকে। প্রতিদিন প্রায় ১৬ কেজি খাবারের জন্য খরচ হয় এক হাজার টাকার মতো। ষাড়টি বড় করতে কোন কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম¦ন করেননি। মোটাতাজাকরণের কোন ওষুধ বা খাবার দিতে হয়নি।

এবারের কোরবানী ঈদকে সামনে রেখেই গরুটিকে প্রস্তুত করেছিলেন জানিয়ে সবুজ বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে গরুর খামারীরা খুব অসুবিধায় আছেন। অনলাইনে গরু বিক্রির কথা বলা হলেও অনেকে এর সম্মন্ধে ধারণা নেই। সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে গরু বিক্রির জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও ব্যবস্থা করা গেলেও তারা উপকৃত হতেন।

ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অধিপ্তর কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, ৩৩ মন ওজনের সম্রাটের খবর জেনেছি। ষাড় গরুটির ছবিসহ অনলাইনে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরুর হাট চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন, আগামী ১৪ তারিখে লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলে হয়তো এব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। খামারীদের সমস্যার বিষয়ে সরকার অবহিত রয়েছে।


প্রিন্ট