আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের ৩৩ মণ ওজনের সম্রাটের দর হাকানো হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। পশুটি মালিক আদর করে নাম রেখেছে সম্রাট।
সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিলমামুদপুরে অবস্থিত মাইশা ডেইরী ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির জন্ম। সেখানেই অতিযতেœ লালন পালন করা হচ্ছে। গরুটি লম্বায় সাড়ে ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এপর্যন্ত ফরিদপুর জেলায় মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এই ৩৩ মন ওজনের সম্রাট। অনলাইনে ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ষাড় গরুটির ছবিসহ তথ্যাদি প্রকাশও করেছেন। গরুটিকে দেখতে অনেক উৎসুক মানুষ ওই খামারেও আসছেন।
মাইশা ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, তাঁর ডেইরী ফার্মের একটি গাভীর গর্ভে জন্ম হয় এই ষাড় বাছুরটির। এরপর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এটিকে লালন পালন করে বড় করেছেন। তিনি জানান, তাজা ঘাস, খড়, গম, ভুসি ও খৈল এসব প্রাকৃতিক খাবারই খাওয়ানো হয় এটিকে। প্রতিদিন প্রায় ১৬ কেজি খাবারের জন্য খরচ হয় এক হাজার টাকার মতো। ষাড়টি বড় করতে কোন কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম¦ন করেননি। মোটাতাজাকরণের কোন ওষুধ বা খাবার দিতে হয়নি।
এবারের কোরবানী ঈদকে সামনে রেখেই গরুটিকে প্রস্তুত করেছিলেন জানিয়ে সবুজ বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে গরুর খামারীরা খুব অসুবিধায় আছেন। অনলাইনে গরু বিক্রির কথা বলা হলেও অনেকে এর সম্মন্ধে ধারণা নেই। সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে গরু বিক্রির জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও ব্যবস্থা করা গেলেও তারা উপকৃত হতেন।
ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অধিপ্তর কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, ৩৩ মন ওজনের সম্রাটের খবর জেনেছি। ষাড় গরুটির ছবিসহ অনলাইনে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরুর হাট চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন, আগামী ১৪ তারিখে লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলে হয়তো এব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। খামারীদের সমস্যার বিষয়ে সরকার অবহিত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।