শুক্রবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে ঘড়ির কাটা ছুঁইছুঁই ঠিক এমন সময় ঢাকা থেকে খবর আসে মামুন নেই, চিরনিদ্রায় । একথা শোনার পর ভেড়ামারাবাসী সবাই হতভম্ব।মূহুর্তের মধ্যে ভেড়ামারায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।তার অকাল মৃত:কেউমেনে নিতে পারেনি।
ঢাকা মহাখালি ডি.এন.সি.সি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বিশিষ্ট ইট ব্যবসায়ী হাজী মাসুদ রানা মামুন। হাসিমুখে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যক্তি ভেড়ামারা মধ্য বাজার গ্রামের মৃত,আবুল হোসেন (কোম্পানি’র )মেজ ছেলে।
সে ভেড়ামারা এসএসসি ৮৮ ব্যাচ সংগঠনের পর পর ২বার সভাপতি।মধ্যবাজার চলন্তিকা ক্রীড়া চক্র’র সভাপতি।ভেড়ামারা উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির নিষ্ঠার সাথে কয়েকবার কোষাদক্ষ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
উপজেলার ফারাকপুর জামে মসজিদে শুক্রবার রাত ১০টার সময় জানাজা শেষে মামুনের মরদেহ ফারাকপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।রাত সাড়ে ১১টার সময় তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। হাজী মাসুদ রানা মামুনের জানাজা নামাজে রাতের বেলা ও শতশত মানুষ শরিক হতে দেখা যায়।জায়গা হচ্ছিলো না মাঠে।
এর পূর্বে লাশবাহী গাড়ী রাত সোয়া ৯টার সময় বাসার সামনে পৌছালে তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য এলাকার অনেক নারী-পূরুষের ভিড় জমে।মামুনের মরদেহ মুখটা দেখে উপস্থিত সকলের চোখদিয়ে নোনা পানি ঝড়তে দেখা যায়।মূহুর্তের মধ্যে আবার শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু, কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল আলীম স্বপন, পৌর মেয়র আনোয়ার কবির টুটুল, সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: তৌহিদুল ইসলাম আলম, ভেড়ামারা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ডা: আমিরুল ইসলাম মান্নান, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান লিপটন, ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলাম মনা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও প্যানেল মেয়র নাঈমুল হক, সাবেক প্যানেল মেয়র মাহাবুল আলম বিশ্বাস, রেল বাজার বনিক সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ, ডাকবাংলো বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন, উপজেলা জামায়েত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দী, এসএসসি ৮৮ ব্যাচভেড়ামারা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ, উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকগণ।বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার প্রধানগণ, বিভিন্ন শ্রেণীপেশাজীবি মানুষ এই জানাজা নামাজে শরীক হতে দেখা যায়।
ঊল্লেখ্য, ১৭জুন থেকে অসুস্থ মামুন। ২৮ জুন সকালে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে ঐদিনই কুষ্টিয়া সনো টাওয়ারে বাপ্পী ডাক্তারকে দিয়ে দেখানো হয়।করোনা বলে শনাক্ত করা হয়।
এসএসসি ৮৮বন্ধুবর কর্নেল মিঠুলের সহযোগীতায়া পরে মামুনকে গত ২জুলাই রাত ৩টার সময় ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ১১নং বেডে তার সু-চিকিৎসা সেবা চলছিলো। সেখানে তার অবস্থা একটু অবনতি হলে গত ৪ জুলাই দ্রুত অসুস্থ মামুনকে ডিএনসিসি ঢাকা মহাখালী ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
গত ৭ জুলাই তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৯জুলাই শুক্রবার তারিখে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতুবরণ করে। সে ৯ বছরের ছেলে, ১৬ বছরের মেয়েএবং স্ত্রীসহ অনেক আত্মিয়স্বজন রেখে পরলোকগমন করেন। তার অকাল মৃতুতে ভেড়ামারা এসএসসি ৮৮ ব্যাচ সংগঠনের বন্ধুরা ৩দিন কালো ব্যাচ ধারণ করে শোক প্রকাশ করছে।
প্রিন্ট