ঢাকা , সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শিবপুরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে সাড়ে তিনশত বিভিন্ন চারা গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা

মোঃ আলম মৃধাঃ

 

নরসিংদীর শিবপুরের আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার সকালে প্রায় সাড়ে তিনশত বিভিন্ন চারা গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা।

 

এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানায় (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযোগ করেন, আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত আবু সাঈদ এর ছেলে মোহাম্মদ খোকন মিয়া।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ তালিম মিয়া সাথে জমি জামা ও গাছ লাগানো নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার সকালে বিভিন্ন চারা গাছ গুলো কেটে ফেলে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, তালিম মিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারী, একাধিক মামলার আসামি। তাদের অত্যাচারে এই জাঙ্গালিয়া গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ।

 

ভুক্তভোগী খোকন মিয়া বলেন, “আমাদের জমিতে আমি তিন মাস আগে বিভিন্ন জাতের প্রায় সাড়ে তিনশত চারা গাছ লাগিয়েছি। গত ৫/৬ দিন আগে মোঃ তালিম মিয়া আমার জায়গাতে চারা লাগায়। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে উত্তর দেয়, ‘খলিল ভাই আমাকে বলেছে চারা লাগানোর জন্য’। খলিলকে জিজ্ঞেস করলে বলে ‘ওলি জানে’। ওলিকে জিজ্ঞেস করলে ওলি বলে ‘চারা উঠিয়ে ফালায়দে’। পরে আমি দুই-তিন দিন অপেক্ষা করে দেখি তারা উঠিয়ে নেয়না। ওলিকে বললে তিনি বলেন ‘তুই উঠাইয়া ফালায়দে’, পরে আমি উঠিয়ে ফালায় দেই।”

 

আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বর বলেন, “আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে এমনটাই প্রশাসনের কাছে দাবি।”

 

এ বিষয়ে গ্রামের মোঃ মাসুম সরকার বলেন, “আমাদের জানামতে খোকন ভালো মানুষ। সাদামাটা চলাফেরা করে, কারো সাথে ঝগড়া করে না। কি কারণে এই গাছগুলো কেটেছে, এটা আমাদের ভাবতেই অবাক লাগে।”

 

এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসাইন বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করার জন্য আমাদের এসআই যাবে। তদন্ত শেষে আমাকে বিস্তারিত জানালে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

 

এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামের সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

শিবপুরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে সাড়ে তিনশত বিভিন্ন চারা গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা

আপডেট টাইম : ১১ ঘন্টা আগে
মোঃ আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ আলম মৃধাঃ

 

নরসিংদীর শিবপুরের আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার সকালে প্রায় সাড়ে তিনশত বিভিন্ন চারা গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা।

 

এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানায় (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযোগ করেন, আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত আবু সাঈদ এর ছেলে মোহাম্মদ খোকন মিয়া।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ তালিম মিয়া সাথে জমি জামা ও গাছ লাগানো নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার সকালে বিভিন্ন চারা গাছ গুলো কেটে ফেলে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, তালিম মিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারী, একাধিক মামলার আসামি। তাদের অত্যাচারে এই জাঙ্গালিয়া গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ।

 

ভুক্তভোগী খোকন মিয়া বলেন, “আমাদের জমিতে আমি তিন মাস আগে বিভিন্ন জাতের প্রায় সাড়ে তিনশত চারা গাছ লাগিয়েছি। গত ৫/৬ দিন আগে মোঃ তালিম মিয়া আমার জায়গাতে চারা লাগায়। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে উত্তর দেয়, ‘খলিল ভাই আমাকে বলেছে চারা লাগানোর জন্য’। খলিলকে জিজ্ঞেস করলে বলে ‘ওলি জানে’। ওলিকে জিজ্ঞেস করলে ওলি বলে ‘চারা উঠিয়ে ফালায়দে’। পরে আমি দুই-তিন দিন অপেক্ষা করে দেখি তারা উঠিয়ে নেয়না। ওলিকে বললে তিনি বলেন ‘তুই উঠাইয়া ফালায়দে’, পরে আমি উঠিয়ে ফালায় দেই।”

 

আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বর বলেন, “আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে এমনটাই প্রশাসনের কাছে দাবি।”

 

এ বিষয়ে গ্রামের মোঃ মাসুম সরকার বলেন, “আমাদের জানামতে খোকন ভালো মানুষ। সাদামাটা চলাফেরা করে, কারো সাথে ঝগড়া করে না। কি কারণে এই গাছগুলো কেটেছে, এটা আমাদের ভাবতেই অবাক লাগে।”

 

এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসাইন বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করার জন্য আমাদের এসআই যাবে। তদন্ত শেষে আমাকে বিস্তারিত জানালে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

 

এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামের সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের।


প্রিন্ট