মোঃ জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গরু লুটের টাকার ভাগ নিয়ে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ট ৩০ মিনিটে দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদীপুর বাজারের পাশে পাঁচশ বিঘা মাঠে এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপনগর ও চরসাদীপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী শরিফ কাইগি, রিন্টু, নাজমুল, শাহীন ও জামিল সংঘবদ্ধ হয়ে বুধবার সকালে ফিলিপনগর এলাকার কালু কবিরাজের চরের মাঠ থেকে বাথানের ৩৪টি গরু লুট করে। লুট করা গরু ফেরত নিতে সন্ত্রাসীরা কালু কবিরাজের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।
একই দিন রাতে লুট হওয়া গরু কালু কবিরাজ ফেরত পেলে টাকার ভাগ নিয়ে সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চরসাদীপুর পাঁচশ বিঘা মাঠে একত্রিত হয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়।
একপর্যায়ে চরসাদীপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী নাজমুল, শাহীন ও জামিল প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী শরিফ কাইগি ও রিন্টুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে শরিফ কাইগি ও রিন্টুও তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গুলিবিনিময়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে অন্তত ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে।
সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চরসাদীপুর এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার একদিন আগে রাজু নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার জের ধরে সাইদ মণ্ডলের মহিষের বাথান বাড়ি থেকে ৪৬টি মহিষ লুট করা হয়েছে।
লোকজন বৈরাগীরচর মণ্ডলপাড়া পদ্মার চরের বাথান বাড়ি থেকে মহিষগুলো লুট করে নেয় বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। লুট মহিষের মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রিন্ট