সাইফুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর প্রাথমিক স্কুল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কালিকাপুর ও হারোয়া গ্রামবাসীর মধ্যে উপর্যোপুরি সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় কালিকাপুর বাইপাস ও নতুন বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন হারোয়া এলাকার জামাল উদ্দিন (৫৪), সুমন (২০), এশার উদ্দিন (৩৫), মাসুদ (২২), বিপুল (২৬), আওয়াল (২৫), মোবারক (২৪), কালিকাপুর এলাকার মজু প্রামানিক (৪৫), রাজু আহমেদ (২০), শাকিল আহমেদ (২২), ফারখ হোসেন (৩৫), সাব্বির হোসেন (২১), জাকির হোসেন (৪০), পরান উদ্দিন (১৭)। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, কালিকাপুর প্রাথমিক স্কুল মাঠে কালিকাপুর ও হারোয়া একাদশ টিমের মধ্যে সোমবার বিকেলে ফুটবল খেলা চলাকালে খেলার মাঠে তর্ক-বিতর্ক হলেও তা ফায়সালা হয় এবং ১-০ গোলে হারোয়া একাদশ টিম বিজয়ী হয়। বিজয় মিছিল নিয়ে হারোয়াবাসী কালিকাপুর বাইপাস এলাকায় পৌছালে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং তা কালিকাপুর নতুন বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। হারোয়াবাসীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, কালিকাপুর বাইপাস এলাকায় চা-ষ্টল ও বাস কাউন্টার থেকে মিছিলকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তিকর ও আপত্তিজনক কথা বলায় সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের একপর্যয়ে কালিকাপুর এলাকাবাসি জামাল উদ্দিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন তার নিরাপত্তাবিধানে কালিকাপুর বাইপাসের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জামাল উদ্দিন কে জনরোষ থেকে রক্ষা করা হয় বলে এ প্রতিনিধিকে জানানো হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে জামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কালিকাপুর নতুন বাজার এলাকায় পুনরায় সংঘর্ষ ঘটে। বনপাড়া পৌরশহরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এবং সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বনপাড়া পৌর গেটে বিক্ষুব্ধ জনতাকে এই মর্মে সতর্ক করেন যে, পুনরায় কোনো সংঘর্ষ ঘটলে দায়ী ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংঘর্ষ এড়াতে তিনি এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। থানায় কোনো মামলা হয়নি।
প্রিন্ট