ঢাকা , সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে আলু গাছে পচন, দিশেহারা কৃষক

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে আলুর ভরাখেতে আলু গাছে পচন রোগ দেখা দেয়া দিয়েছে। শেষ মুহুর্তে আলু গাছে পচন রোগের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আলু চাষিরা।আলু চাষিদের অভিযোগ, তারা সিংহভাহ সময় মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষি পরামর্শ পাচ্ছেন না।এতে বাধ্য হয়ে তারা কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শে অনুমান নির্ভর হয়ে উচ্চ মুল্যের কীটনাশক ব্যবহার করছেন। কিন্ত্ত আশাব্যঞ্জক ফল পাচ্ছেন না।ফলে আলু উৎপাদনে ফলন হ্রাসের আশঙ্কার তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

 

স্থানীয় আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) মোহর বাঘাপুকুর, নারায়নপুর, লসিরামপুর,পাঁচন্দর ইউপির যশপুর, চিমনা, গুড়ইল,তানোর পৌর এলাকার সিন্দুকাই,গোকুলসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ আলুখেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) আলু চাষি শরিফ উদ্দিনের ৭ বিঘা, গৌউরের ৩ বিঘা, শাহাদাতের ২৮ কাঠা জমিতে পচন রোগ ধরেছে। কিন্তু তারা মাঠ পর্যায়ে কোন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পাচ্ছেন না।

 

তারা বলেন, তাদের মাঠে প্রায় দুইশ’ বিঘা জমির আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। রোগে আলুগাছ মরে যাচ্ছে। এতে ফলনহানির আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অথচ কৃষি বিভাগ নির্বিকার রয়েছে। কামারগাঁ মাঠের আলু চাষি শরিফ উদ্দিন বলেন, এবার তিনি ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। পচন রোগে ইতিমধ্যে তার আলু খেতের সিংহভাগ গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তার জানা মতে কোথাও আলু গাছে পচন রোগ ধরেনি। আলুর গাছ ভালো অবস্থায় আছে, আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষকরা যদি তাদের কাছে পরামর্শ নিতে না আসে তাহলে তো তাদের করণীয় কিছু নাই।তিনি বলেন,এবারে আলুর চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর। কিন্তু আলু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

তানোরে আলু গাছে পচন, দিশেহারা কৃষক

আপডেট টাইম : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে আলুর ভরাখেতে আলু গাছে পচন রোগ দেখা দেয়া দিয়েছে। শেষ মুহুর্তে আলু গাছে পচন রোগের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আলু চাষিরা।আলু চাষিদের অভিযোগ, তারা সিংহভাহ সময় মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষি পরামর্শ পাচ্ছেন না।এতে বাধ্য হয়ে তারা কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শে অনুমান নির্ভর হয়ে উচ্চ মুল্যের কীটনাশক ব্যবহার করছেন। কিন্ত্ত আশাব্যঞ্জক ফল পাচ্ছেন না।ফলে আলু উৎপাদনে ফলন হ্রাসের আশঙ্কার তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

 

স্থানীয় আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) মোহর বাঘাপুকুর, নারায়নপুর, লসিরামপুর,পাঁচন্দর ইউপির যশপুর, চিমনা, গুড়ইল,তানোর পৌর এলাকার সিন্দুকাই,গোকুলসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ আলুখেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) আলু চাষি শরিফ উদ্দিনের ৭ বিঘা, গৌউরের ৩ বিঘা, শাহাদাতের ২৮ কাঠা জমিতে পচন রোগ ধরেছে। কিন্তু তারা মাঠ পর্যায়ে কোন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পাচ্ছেন না।

 

তারা বলেন, তাদের মাঠে প্রায় দুইশ’ বিঘা জমির আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। রোগে আলুগাছ মরে যাচ্ছে। এতে ফলনহানির আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অথচ কৃষি বিভাগ নির্বিকার রয়েছে। কামারগাঁ মাঠের আলু চাষি শরিফ উদ্দিন বলেন, এবার তিনি ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। পচন রোগে ইতিমধ্যে তার আলু খেতের সিংহভাগ গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তার জানা মতে কোথাও আলু গাছে পচন রোগ ধরেনি। আলুর গাছ ভালো অবস্থায় আছে, আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষকরা যদি তাদের কাছে পরামর্শ নিতে না আসে তাহলে তো তাদের করণীয় কিছু নাই।তিনি বলেন,এবারে আলুর চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর। কিন্তু আলু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন।


প্রিন্ট