ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে টেন্ডার বাক্স লুটের ঘটনায় ‘মিথ্যা অপপ্রচারের’ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী গোদাগাড়ীতে শ্রীপাঠ খেতুরী ধার্মের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, ট্রাস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবি Logo কালিয়াকৈরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo ভেড়ামারায় ৪টি ইটভাটায় অভিযান! ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় Logo পাংশায় ৫৩তম জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজাপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা Logo রাজাপুর বাশার হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘন্টার মাথায় ২ আসামী আটক ও ভ্যান উদ্ধার Logo আ’ লীগের স্টাইলে লুটপাটের রাজনীতি করছেন বিএনপির দুই নেতা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মুকসুদপুরে মায়ের বাধায় আটকে গেলো শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন

বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মায়ের বাধায়, আদালতের নির্দেশে ছয় মাস পরে কবর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন বন্ধ হয়েছে।

 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে আসলে, শহীদ আরাফাতের মায়ের কাকুতি – মিনতির কারণে মরদেহ উত্তোলন না করে, কবর জিয়ারত করে ফিরে যান প্রশাসন। এ ঘটনায় শহীদের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন কর্তব্যরত প্রসাশনের কর্মকর্তাগণ৷

 

গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবির বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল, ইন্সপেক্টর (পিবিআই) গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

 

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবির বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে সঙ্গীয় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে আসলে তার মায়ের আর্তনাদে আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে শহীদ আরাফাতের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।

 

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগষ্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় তিনি। আরাফাতের বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় থাকেন। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আরাফাত সেখানেই বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

মুকসুদপুরে মায়ের বাধায় আটকে গেলো শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন

আপডেট টাইম : ৭ ঘন্টা আগে
বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :

বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মায়ের বাধায়, আদালতের নির্দেশে ছয় মাস পরে কবর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন বন্ধ হয়েছে।

 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে আসলে, শহীদ আরাফাতের মায়ের কাকুতি – মিনতির কারণে মরদেহ উত্তোলন না করে, কবর জিয়ারত করে ফিরে যান প্রশাসন। এ ঘটনায় শহীদের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন কর্তব্যরত প্রসাশনের কর্মকর্তাগণ৷

 

গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবির বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল, ইন্সপেক্টর (পিবিআই) গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

 

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবির বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে সঙ্গীয় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে আসলে তার মায়ের আর্তনাদে আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে শহীদ আরাফাতের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।

 

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগষ্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় তিনি। আরাফাতের বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় থাকেন। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আরাফাত সেখানেই বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত।


প্রিন্ট