ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ Logo অবৈধ সম্পদঃ হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা Logo বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের স্থান নেইঃ -রুহুল কবির রিজভী Logo এবছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে কেশবপুর উপজেলা Logo ঝালকাঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমে গতি আনতে জেলা সমন্বয়ক টিম গঠন Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল‌ অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো খামারির স্বপ্ন Logo কালুখালীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত Logo নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে Logo ফরিদপুরে ২৭টি “ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র” উদ্বোধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাটি খেকোদের কাছে অসহায় বোয়ালমারীর ইউএনও

একাধিকবার নিষেধ করেও মাটি কাটা বন্ধ করতে পারছেন না!

রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের সুগন্ধী গ্রামে ফসলী ও উচু জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মাটি কেটে ইট ভাটায় ও ভরাটে বিক্রির খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ইউএনও ৭ জানুয়ারি কাজ বন্ধ করে দেয়। তার তিনদিন পরে ইউএনও’র আদেশ অমান্য করে মাটি কাটছে ভূমি খেকো মাটি ব্যবসায়ী সোয়াদ। এখনো তার মাটি কাটার কাজ চলমান রয়েছে। একই জমি থেকে প্রায় দুই মাস যাবত মাটি কেটে ভরাট ও ইট ভাটায় বিক্রি করছে।

 

এ মাটি কাটার ঘটনায় বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও’র অসহায়ত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি অভিযান পরিচালনা না করে একাধিকবার কাজ মৌখিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী জানান, মাটি কাটতে একাধিকবার নিষেধ করার হয়েছে। তার পরেও তারা মাটি কাটছে। আজই বুধবার (২৯.০১.২৫) আমি অভিযানে গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

জানা যায়, উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের নাগদী গ্রামের আব্দুর রব এর ছেলে বকুল ও একই গ্রামের আলী মৌলভীর ছেলে রেজাউল সুগন্ধী গ্রামে দুই একর কৃষি জমি দিঘী বানাতে সোয়াদ নামে এক মাটি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বেকু দিয়ে খনন করে ৯-১০ টি ট্রাকে মাটি বহন করে ভরাট কাজে ও ইট ভাটায় বিক্রি করছে। এতে যেমন কমছে কৃষি জমির পরিমান। তেমনই পরিবেশ পড়ছে হুমকিতে। এদিকে ইউএনও নিজে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করেছিলেন। তারপরেও ইউএনও’র আদেশ অমান্য করে আবার মাটি কেটে বিক্রি করছে সোয়াদ। এমনটি প্রশ্ন জনে মনে? কে এই সোয়াদ আর কে বা তার শেল্টার দাতা।

 

জানা গেছে এ মাটি সাতৈর ন্যাশনাল ব্রিকসে ও বিভিন্ন ভরাট কাজে বিক্রি করছে। মাটি বহনে রাস্তা ঘাট ধূলা বালুতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে লোকালয়ে অনবরত যান চলাচলের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় লোকজন।

 

জমির মালিক পক্ষ ও মাটি ব্যবসায়ী সোয়াদ বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ইউএনও পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়৷ পরে তাদের সাথে কথা বলে আবার মাটি কাটছি। এ মাটি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এর ইট ভাটায় ও বিভিন্ন ভরাটে বিক্রি করছি। তবে আপনারা আবার এসেছেন কেন? আমরাতো প্রশাসন ম্যানেজ করে এসেছি। প্রতি ট্রাক মাটি প্রকার ভেদে ১০০০- ১৫০০ টাকা বিক্রি করছে তারা।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, এর আগে তার কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। তার পরেও সে মাটি কাটছে। তাহলে অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ ছাড়া কোন উপায় নেই!

 

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, মাটি কাটা বা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে কেউ সে কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ

error: Content is protected !!

মাটি খেকোদের কাছে অসহায় বোয়ালমারীর ইউএনও

আপডেট টাইম : ০১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের সুগন্ধী গ্রামে ফসলী ও উচু জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মাটি কেটে ইট ভাটায় ও ভরাটে বিক্রির খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ইউএনও ৭ জানুয়ারি কাজ বন্ধ করে দেয়। তার তিনদিন পরে ইউএনও’র আদেশ অমান্য করে মাটি কাটছে ভূমি খেকো মাটি ব্যবসায়ী সোয়াদ। এখনো তার মাটি কাটার কাজ চলমান রয়েছে। একই জমি থেকে প্রায় দুই মাস যাবত মাটি কেটে ভরাট ও ইট ভাটায় বিক্রি করছে।

 

এ মাটি কাটার ঘটনায় বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও’র অসহায়ত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি অভিযান পরিচালনা না করে একাধিকবার কাজ মৌখিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী জানান, মাটি কাটতে একাধিকবার নিষেধ করার হয়েছে। তার পরেও তারা মাটি কাটছে। আজই বুধবার (২৯.০১.২৫) আমি অভিযানে গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

জানা যায়, উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের নাগদী গ্রামের আব্দুর রব এর ছেলে বকুল ও একই গ্রামের আলী মৌলভীর ছেলে রেজাউল সুগন্ধী গ্রামে দুই একর কৃষি জমি দিঘী বানাতে সোয়াদ নামে এক মাটি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বেকু দিয়ে খনন করে ৯-১০ টি ট্রাকে মাটি বহন করে ভরাট কাজে ও ইট ভাটায় বিক্রি করছে। এতে যেমন কমছে কৃষি জমির পরিমান। তেমনই পরিবেশ পড়ছে হুমকিতে। এদিকে ইউএনও নিজে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করেছিলেন। তারপরেও ইউএনও’র আদেশ অমান্য করে আবার মাটি কেটে বিক্রি করছে সোয়াদ। এমনটি প্রশ্ন জনে মনে? কে এই সোয়াদ আর কে বা তার শেল্টার দাতা।

 

জানা গেছে এ মাটি সাতৈর ন্যাশনাল ব্রিকসে ও বিভিন্ন ভরাট কাজে বিক্রি করছে। মাটি বহনে রাস্তা ঘাট ধূলা বালুতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে লোকালয়ে অনবরত যান চলাচলের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় লোকজন।

 

জমির মালিক পক্ষ ও মাটি ব্যবসায়ী সোয়াদ বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ইউএনও পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়৷ পরে তাদের সাথে কথা বলে আবার মাটি কাটছি। এ মাটি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এর ইট ভাটায় ও বিভিন্ন ভরাটে বিক্রি করছি। তবে আপনারা আবার এসেছেন কেন? আমরাতো প্রশাসন ম্যানেজ করে এসেছি। প্রতি ট্রাক মাটি প্রকার ভেদে ১০০০- ১৫০০ টাকা বিক্রি করছে তারা।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, এর আগে তার কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। তার পরেও সে মাটি কাটছে। তাহলে অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ ছাড়া কোন উপায় নেই!

 

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, মাটি কাটা বা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে কেউ সে কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট