ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ব্যবসায়ীর উপর হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রধান আসামি

নিজস্ব প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল বাজারে তেল ব্যবসায়ী মো. শামীমের উপর হামলার ঘটনায় শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যবসায়ী শামীমের বাবা বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারের ব্যবসায়ী মতিয়ারের বালুর ট্রাক সাইড দিতে গিয়ে শামীমের মোটরসাইলকে চাপ দিলে মারধরের ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারের ব্যবসায়ী মতিয়ারের বালুর ট্রাক সাইড দিতে গিয়ে শামীমের মোটরসাইলকে চাপ দেয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক শামীম মোল্যা ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাক ডাইভারের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বিরোধ মিমাংসা করতে চাইলে তারা মতিয়ারকে মারবেই বলে উত্তেজিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে সহস্রাইল এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম আর জেহাদকে মারপিট করলে তারা আহত হয়। গুরুতর আহত শামীমকে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শামীমের বাবা ইসরাইল মোল্লা মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ‘২৫) থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ওইদিন রাতেই থানায় মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়। মামলায় শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদকে (৫০) প্রধান আসামি ও চেয়ারম্যানের ভাই মিলনকে ২ নম্বর আসামি করে ৩০ জনের নামে মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে মামলাটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে উল্লেখ করে শেখর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, বাজারে যখন এ ঘটনা ঘটে তখন আমি বাড়িতে একটা সালিশ করতেছিলাম। গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানার ওসি মহোদয়কে ফোন করি। আমার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মামলায় আমাদেরকে জড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহস্রাইল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. চুন্নু বিশ্বাস বলেন, বাজারের ব্যবসায়ী মতিয়ারের বালুর ট্রাকের কারণে শামীমের মোটরসাইকেলের গতি রোধ হয় এবং পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম ট্রাক ডাইভারের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়। তখন মতিয়ার গিয়ে জানতে চাইলে শামীম তাকে থাপ্পড় মারে।

মামলার বাদি ইসরাইল মোল্লা বলেন, বালু ব্যবসায়ি মতিয়ারের বালুর ট্রাক শামীমের মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়ার সময় চাপ দেয়। এর প্রতিবাদ করলে কামাল চেয়ারম্যানের হুকুমে ওই এলাকার লোকজন শামীম ও জেহাদকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে শামীম মারাত্মক আহত হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করেই আসামি গ্রেপ্তার করা হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম রসুল বলেন, মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

ব্যবসায়ীর উপর হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রধান আসামি

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে
নিজস্ব প্রতিনিধি :

নিজস্ব প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল বাজারে তেল ব্যবসায়ী মো. শামীমের উপর হামলার ঘটনায় শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যবসায়ী শামীমের বাবা বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারের ব্যবসায়ী মতিয়ারের বালুর ট্রাক সাইড দিতে গিয়ে শামীমের মোটরসাইলকে চাপ দিলে মারধরের ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারের ব্যবসায়ী মতিয়ারের বালুর ট্রাক সাইড দিতে গিয়ে শামীমের মোটরসাইলকে চাপ দেয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক শামীম মোল্যা ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাক ডাইভারের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বিরোধ মিমাংসা করতে চাইলে তারা মতিয়ারকে মারবেই বলে উত্তেজিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে সহস্রাইল এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম আর জেহাদকে মারপিট করলে তারা আহত হয়। গুরুতর আহত শামীমকে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শামীমের বাবা ইসরাইল মোল্লা মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ‘২৫) থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ওইদিন রাতেই থানায় মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়। মামলায় শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদকে (৫০) প্রধান আসামি ও চেয়ারম্যানের ভাই মিলনকে ২ নম্বর আসামি করে ৩০ জনের নামে মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে মামলাটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে উল্লেখ করে শেখর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, বাজারে যখন এ ঘটনা ঘটে তখন আমি বাড়িতে একটা সালিশ করতেছিলাম। গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানার ওসি মহোদয়কে ফোন করি। আমার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মামলায় আমাদেরকে জড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহস্রাইল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. চুন্নু বিশ্বাস বলেন, বাজারের ব্যবসায়ী মতিয়ারের বালুর ট্রাকের কারণে শামীমের মোটরসাইকেলের গতি রোধ হয় এবং পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম ট্রাক ডাইভারের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়। তখন মতিয়ার গিয়ে জানতে চাইলে শামীম তাকে থাপ্পড় মারে।

মামলার বাদি ইসরাইল মোল্লা বলেন, বালু ব্যবসায়ি মতিয়ারের বালুর ট্রাক শামীমের মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়ার সময় চাপ দেয়। এর প্রতিবাদ করলে কামাল চেয়ারম্যানের হুকুমে ওই এলাকার লোকজন শামীম ও জেহাদকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে শামীম মারাত্মক আহত হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করেই আসামি গ্রেপ্তার করা হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম রসুল বলেন, মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


প্রিন্ট