ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফলো আপ

প্রধান শিক্ষক-সহকারি শিক্ষকের হাতাহাতি, মানববন্ধন

আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

বাঘায় মহদিপুর-হরিরামপুর (এম এইচ) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেককে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ ও স্বেচ্ছাচারী আখ্যায়িত করে শিক্ষক কর্মচারী-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২-০১-২০২৫) দুপুরে বিদ্যালয় পঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম, রফিকুল ইসলাম, ইংরেজি শিক্ষক জাকির হোসেন, নৈশ প্রহরি মোকসেদ আলী, শিক্ষার্থী মেঘলা ও নদী। পরিছন্নতা কর্মী আবু জার বলেন, চাকরি নিতে প্রধান শিক্ষককে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

অন্য বক্তারা, নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয় পরিচালনাসহ নিয়োগ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।

জানা যায়.গত সোমবার(২০-০১-২০২৫) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারি শিক্ষকদের হাতাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সহকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠে। পরের দিন মঙ্গলবার(২১-০১-২০২৫) বিদ্যালয়টির ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে উপজলা নির্বাহি অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের দাবি, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়ম বর্হিভ’তভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও টাকা নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। সেখানে ২৪ লক্ষ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। সেই টাকায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন সহকারী শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক রাজি না হলে সহকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। পরে প্রধান শিক্ষক নিজে তাকে মারপিট করে। পরে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়টি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে-বিভিন্নজন মন্তব্যে লিখেছেন। প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, সোমবার শিক্ষক-কর্মচারী একত্রিত হয়ে আমার গায়ে হাত দেয়। হাতা হাতির পর ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে।

 

তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল-নিরাপত্তা কর্মী আসাদুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী আবু জারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে, নেতারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন সহকারী শিক্ষকরা অযৌক্তিকভাবে সেই টাকার দাবি করে উন্নয়নের কথা বলছেন। তাদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না হলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, মঙ্গলবার( ২১ জানুয়ারী) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম এবং দূনীতির বিষয়ে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

ফলো আপ

প্রধান শিক্ষক-সহকারি শিক্ষকের হাতাহাতি, মানববন্ধন

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

বাঘায় মহদিপুর-হরিরামপুর (এম এইচ) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেককে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ ও স্বেচ্ছাচারী আখ্যায়িত করে শিক্ষক কর্মচারী-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২-০১-২০২৫) দুপুরে বিদ্যালয় পঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম, রফিকুল ইসলাম, ইংরেজি শিক্ষক জাকির হোসেন, নৈশ প্রহরি মোকসেদ আলী, শিক্ষার্থী মেঘলা ও নদী। পরিছন্নতা কর্মী আবু জার বলেন, চাকরি নিতে প্রধান শিক্ষককে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

অন্য বক্তারা, নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয় পরিচালনাসহ নিয়োগ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।

জানা যায়.গত সোমবার(২০-০১-২০২৫) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারি শিক্ষকদের হাতাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সহকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠে। পরের দিন মঙ্গলবার(২১-০১-২০২৫) বিদ্যালয়টির ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে উপজলা নির্বাহি অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের দাবি, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়ম বর্হিভ’তভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও টাকা নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। সেখানে ২৪ লক্ষ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। সেই টাকায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন সহকারী শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক রাজি না হলে সহকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। পরে প্রধান শিক্ষক নিজে তাকে মারপিট করে। পরে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়টি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে-বিভিন্নজন মন্তব্যে লিখেছেন। প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, সোমবার শিক্ষক-কর্মচারী একত্রিত হয়ে আমার গায়ে হাত দেয়। হাতা হাতির পর ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে।

 

তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল-নিরাপত্তা কর্মী আসাদুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী আবু জারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে, নেতারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন সহকারী শিক্ষকরা অযৌক্তিকভাবে সেই টাকার দাবি করে উন্নয়নের কথা বলছেন। তাদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না হলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, মঙ্গলবার( ২১ জানুয়ারী) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম এবং দূনীতির বিষয়ে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


প্রিন্ট