ঢাকা , সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুর জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় পরিত্যক্ত ভবনে ১৮৯১ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি Logo সিংড়ায় বাস ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষ: নিহত ২, আহত ২ Logo বিজিবির বাবুর্চী বাসারুলের বিরুদ্ধে ল্যান: নায়েক পরিচয়ে একাধিক বিয়ে ও প্রতারণার অভিযোগ Logo কুষ্টিয়ায় মিল বন্ধ দীর্ঘদিন, তবুও বরাদ্দ তালিকায় মিলের নাম Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের সমাবেশের পর মাঠ পরিষ্কার করল ছাত্রদল Logo আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নে শীতবস্ত্র প্যাকেজ বিতরন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম Logo নোয়াখালী জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ থানা চাটখিল ও ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী Logo ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টর সদর দফতরে ঢুকে বৈদ্যুতিক তার চুরি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুমারখালীতে অবৈধ মাটি খেকোর উৎপাতে চর কাটতে অক্ষম বৈধ ইজারাদার

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের চরবহলা গ্রামের গড়াই নদীর চরের মাটি অবৈধ মাটিখেকো চক্রের থাবায় বিপন্ন। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে এখনও অসাধু চক্রের এই তাণ্ডব চলমান।

 

ইজারাদারের অভিযোগ সরকার থেকে ইজারা নেওয়া চর থেকে বালু উত্তোলন করতে গেলে স্থানীয় সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ মাটি খেকো দস্যুদের বিভিন্ন হুমকি ও অবৈধ অস্ত্র দ্বারা হামলার শিকারে হই।

 

স্থানীয় মাটি খেকো দস্যুরা অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন ভাটাই বিক্রয় করে চলেছে। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়াও গড়াই নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে যারা মাটি উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান সচেতন মহল। গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর চর থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে বাটা হাম্বা যোগে পরিবহন করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাটায়। নদীর চর এমনভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে, যেন দেখলে মনে হয় নদীর ভেতর পুকুর খনন করা হয়েছে। নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায় বাটাহাম্বাই মাটি কেটে নিচ্ছে দস্যুরা। তাদের থেকে জানা যায়, স্থানীয় জহুরুল, জাহিদ সহ বিভিন্ন সরদারের নেতৃত্বে তারা মাটি উত্তোলন করছে।

 

ইজারাদার আব্দুস সামাদ খান পাখি জানান, আমি চার মাস আগে নন্দলালপুর ইউনিয়নের চরবহলা, গোবিন্দপুর ও চর চাপড়া মৌজার সরকারি খাস আদায়ের একটি বালুমহাল ইজারা নেই। কিছু সঙ্গবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে আসছে এবং শহরক্ষার বেরি বাদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আমি প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ভ্রাম্যমান পরিচালনা করে দুইজনকে আটক করে। জেল থেকে ফেরত এসে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি একত্রিত হয়ে আমাদেরকে অবৈধ অস্ত্র দ্বারা হটিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে মাটি ও বালু উত্তোলন করে চলেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করলে প্রশাসন দেখবো বলে সময় বিলম্ব করছে। অথচ প্রতি মাসে সরকারকে খাস কালেকশন বাবদ রাজস্ব দিচ্ছি। প্রশাসনের কাছে আমার চর বুঝে দিতে বলিলে আজ দেবো কাল দেবো বলে ঘোরাচ্ছে। আমার চর বুঝে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সংঘবদ্ধ চক্রটি পূর্বেও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চর থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। আমার দাবি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা এবং সরকারের রাজস্ব সুস্থ ভাবে আদায় করার জন্য দ্রুত প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করছি।

 

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিকাইল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্যটি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেলাম দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুর জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

কুমারখালীতে অবৈধ মাটি খেকোর উৎপাতে চর কাটতে অক্ষম বৈধ ইজারাদার

আপডেট টাইম : ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের চরবহলা গ্রামের গড়াই নদীর চরের মাটি অবৈধ মাটিখেকো চক্রের থাবায় বিপন্ন। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে এখনও অসাধু চক্রের এই তাণ্ডব চলমান।

 

ইজারাদারের অভিযোগ সরকার থেকে ইজারা নেওয়া চর থেকে বালু উত্তোলন করতে গেলে স্থানীয় সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ মাটি খেকো দস্যুদের বিভিন্ন হুমকি ও অবৈধ অস্ত্র দ্বারা হামলার শিকারে হই।

 

স্থানীয় মাটি খেকো দস্যুরা অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন ভাটাই বিক্রয় করে চলেছে। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়াও গড়াই নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে যারা মাটি উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান সচেতন মহল। গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর চর থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে বাটা হাম্বা যোগে পরিবহন করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাটায়। নদীর চর এমনভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে, যেন দেখলে মনে হয় নদীর ভেতর পুকুর খনন করা হয়েছে। নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায় বাটাহাম্বাই মাটি কেটে নিচ্ছে দস্যুরা। তাদের থেকে জানা যায়, স্থানীয় জহুরুল, জাহিদ সহ বিভিন্ন সরদারের নেতৃত্বে তারা মাটি উত্তোলন করছে।

 

ইজারাদার আব্দুস সামাদ খান পাখি জানান, আমি চার মাস আগে নন্দলালপুর ইউনিয়নের চরবহলা, গোবিন্দপুর ও চর চাপড়া মৌজার সরকারি খাস আদায়ের একটি বালুমহাল ইজারা নেই। কিছু সঙ্গবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে আসছে এবং শহরক্ষার বেরি বাদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আমি প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ভ্রাম্যমান পরিচালনা করে দুইজনকে আটক করে। জেল থেকে ফেরত এসে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি একত্রিত হয়ে আমাদেরকে অবৈধ অস্ত্র দ্বারা হটিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে মাটি ও বালু উত্তোলন করে চলেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করলে প্রশাসন দেখবো বলে সময় বিলম্ব করছে। অথচ প্রতি মাসে সরকারকে খাস কালেকশন বাবদ রাজস্ব দিচ্ছি। প্রশাসনের কাছে আমার চর বুঝে দিতে বলিলে আজ দেবো কাল দেবো বলে ঘোরাচ্ছে। আমার চর বুঝে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সংঘবদ্ধ চক্রটি পূর্বেও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চর থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। আমার দাবি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা এবং সরকারের রাজস্ব সুস্থ ভাবে আদায় করার জন্য দ্রুত প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করছি।

 

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিকাইল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্যটি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেলাম দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে


প্রিন্ট