ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পার্বতীপুরে মাদ্রসার ৪ একর জায়গা জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo শার্শায় শিয়াল মারার ফাঁদে কৃষকের মৃত্যু    Logo তানোরে একতা যুব সংঘের নিজস্ব অর্থায়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন Logo ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে ৩ জন রোহিঙ্গা ও ২ জন দালাল আটক Logo দুর্নীতিবাজ-মাফিয়াদের রাজনীতি চাই না”— ঝালকাঠিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ঘোষণা Logo কুষ্টিয়ায় পাউবোর কোটি টাকার তেল চুরির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেফতার Logo ঠাকুরগাঁওয়ে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ৩ বিষয়ে ফেল Logo কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ১ Logo কুষ্টিয়া পৌরসভার গেটে আবর্জনা ফেলে কর্মবিরতিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরাতে গভীর নলকূপে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ

মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি

মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গভীর নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নলকূপ বসানোর জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, দপ্তরের কর্মকর্তারা ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছেন। এ ছাড়াও, শ্রমিকদের খাওয়া ও বকশিশের জন্য ভুক্তভোগীদের আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

 

শ্রীপুর উপজেলার আমলসার গ্রামের আশরাফুল মণ্ডল জানান, তিনি শুকনো মৌসুমে বাড়ির নলকূপে পানি না ওঠায় গভীর নলকূপের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে অতিরিক্ত ১০ হাজার ৭০০ টাকা দিতে বাধ্য করেন। নলকূপ বসাতে আসা শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়ে আরও প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আফজাল হোসেন নামের আরও একজন অভিযোগ করেছেন যে, একই কারণে অতিরিক্ত ৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন এবং কাজের মানও অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল।

 

এই অভিযোগের পর, ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে, অভিযোগের বিষয়ে এসব কর্মকর্তারা কোনো সদুত্তর দিতে নারাজ। শ্রীপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান মাহমুদ অমি দাবি করেছেন, ১০ হাজার টাকার বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং শ্রমিকদের খাবারের জন্য অতিরিক্ত খরচ হওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।

 

এদিকে, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে, তিনি বা অন্য কোন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোনো পরিষ্কার অবস্থান নিতে চাননি।

 

এখন প্রশ্ন উঠছে, এই দুর্নীতির অভিযোগ এবং দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্যোগ কতটা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পার্বতীপুরে মাদ্রসার ৪ একর জায়গা জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

মাগুরাতে গভীর নলকূপে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :

মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি

মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গভীর নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নলকূপ বসানোর জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, দপ্তরের কর্মকর্তারা ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছেন। এ ছাড়াও, শ্রমিকদের খাওয়া ও বকশিশের জন্য ভুক্তভোগীদের আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

 

শ্রীপুর উপজেলার আমলসার গ্রামের আশরাফুল মণ্ডল জানান, তিনি শুকনো মৌসুমে বাড়ির নলকূপে পানি না ওঠায় গভীর নলকূপের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে অতিরিক্ত ১০ হাজার ৭০০ টাকা দিতে বাধ্য করেন। নলকূপ বসাতে আসা শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়ে আরও প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আফজাল হোসেন নামের আরও একজন অভিযোগ করেছেন যে, একই কারণে অতিরিক্ত ৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন এবং কাজের মানও অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল।

 

এই অভিযোগের পর, ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে, অভিযোগের বিষয়ে এসব কর্মকর্তারা কোনো সদুত্তর দিতে নারাজ। শ্রীপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান মাহমুদ অমি দাবি করেছেন, ১০ হাজার টাকার বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং শ্রমিকদের খাবারের জন্য অতিরিক্ত খরচ হওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।

 

এদিকে, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে, তিনি বা অন্য কোন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোনো পরিষ্কার অবস্থান নিতে চাননি।

 

এখন প্রশ্ন উঠছে, এই দুর্নীতির অভিযোগ এবং দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্যোগ কতটা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।


প্রিন্ট